নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৭ সালে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ গত ২৩ জুলাই বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে পাঠিয়েছে রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৪৪ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৬০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি। ৭০০ কোটি অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭৬ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর এক দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৬ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে চার লাখ সাত হাজার ৩৪৮টি শেয়ার ৬১৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৭৪ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ২৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০১৮ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা। এটি আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল ৪৪ টাকা সাত পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে আট কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ১১ পয়সা কমেছে। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৬৬ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা দুই পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর সময় ছিল ৪৪ টাকা সাত পয়সা।
বিওতে লভ্যাংশ পাঠিয়েছে রূপালী ব্যাংক
