নিজস্ব প্রতিবেদক: আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও পুঁজিবাজারে বড় পতন দেখা গেছে। দিন শেষে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমার পাশাপাশি কমেছে সূচকও। লেনদেন শেষে ৪৮ পয়েন্ট কমে ডিএসইর প্রধান সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮০১ পয়েন্টে। মূলত বিক্রয় চাপের কারণে গতকাল শেয়ারদর কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমে যেতে দেখা যায়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের কার্যদিবসের মতো গতকালও প্রায় সব খাতের শেয়ারে বিক্রয় চাপ ছিল। সকাল থেকে আলোচিত কোম্পানি রবিসহ বেশিরভাগ কোম্পানিতে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি পরিলক্ষিত হয়। ফলে শেয়ারদর কমতে থাকে। লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল। দিন শেষে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমতে দেখা যায়। পাশাপাশি লেনদেনও আগের চেয়ে কমে যায়।
খাতভিত্তিক লেনদেনে দেখা যায়, সবার শীর্ষে ছিল বিবিধ খাত। সম্প্রতি এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে, যার জের ধরে গতকাল দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দাঁড়ায় ১৮ শতাংশের বেশি। পরের অবস্থানে ছিল টেলিকমিউনিকেশন খাত। বিবিধ খাতের মতো সম্প্রতি মোট লেনদেনে এ খাতের অংশগ্রহণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। একইভাবে দিন শেষে মোট লেনদেনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অংশগ্রহণ দেখা যায় ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে ছিল ব্যাংক খাত। গত কয়েক দিন এ খাতের বেশিরভাগ শেয়ারদর ঊর্ধ্বমুখী থাকায় লাভে ছিলেন বিনিয়োগকারীরা, যে কারণে গতকাল মুনাফা তোলার চাপে বিক্রয় চাপ বাড়ে। ফলে দর কিছুটা কমে যায়। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১৪ শতাংশের বেশি। এছাড়া আর্থিক, ওষুধ ও রসায়ন ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারও মোট লেনদেনে সন্তোষজনক অবদান রাখে।
এদিকে সূচকের পাশাপাশি গতকাল লেনদেনও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৫১৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল দুই হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয় প্রায় ৯ কোটি টাকার শেয়ার।