Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 8:41 pm

বিক্রির চাপে নামমাত্র উত্থান পুঁজিবাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে গতকাল বুধবার শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্য দিয়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) নামমাত্র উত্থানে লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। এর ফলে রোববার দরপতনের এক দিন পর সোমবার ও বুধবার দুই কর্মদিবস ইতিবাচক প্রবণতার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বুধবার খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ১৪টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, যা শতাংশের হিসাবে ৬০ শতাংশ। এরপর বিবিধ খাতের লেনদেন হওয়া ৫৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। প্রকৌশল খাতের যেসব কোম্পানির লেনদেন হয়েছে, এর মধ্যে ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। এর পরের ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কোম্পানি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখিয়েছে। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, করপোরেট বন্ডও আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধি বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটির ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাতটির ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এরপর ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাত।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ২ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার ডিএসইতে ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের ৭ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ১৩৬টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের হাত বদল হয়েছে। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৮৩ লাখ ২ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩৮ কোটি ৭৩ লাখ ১ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

এদিন ডিএসইতে ৭১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৬৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল স্কয়ার ফার্মার শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এমারেল্ড ওয়েলের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল সোনালী আঁশের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল দেশবন্ধু পলিমার, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, জেমিনি সি ফুড, ফুয়াং ফুড, ওরিয়ন ইনফিউশন, কোহিনূর কেমিক্যাল এবং লাফার্জহোলসিম লিমিটেডের শেয়ার।

অন্যদিকে, সিএসইর প্রধান সূচক ১০ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬০২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১০৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ৩৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।

দিন শেষে সিএসইতে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৩ টাকার শেয়ার।