বিক্রির চাপ সত্ত্বেও সূচক ইতিবাচকে মূল ভূমিকায় গ্রামীণফোন

রুবাইয়াত রিক্তা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন সত্ত্বেও সূচক ইতিবাচক ছিল। এদিন লেনদেন বেড়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার দ্বারপ্রান্তে উঠে আসে। বৃহৎ খাত বিশেষ করে প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র, বিমা খাতে ছিল বিক্রির চাপ। মাঝারি আকারের অধিকাংশ খাতেও বিক্রির চাপ বেশি ছিল। ব্যাংক খাতে কেনার চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। তবে ভালো অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগ খাত। বিক্রির চাপ সত্ত্বেও সূচক ইতিবাচক করতে মূল ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন, আইসিবি ও স্কয়ার ফার্মার দর বৃদ্ধি। ২৪ কোটি ৪৩ টাকা লেনদেন ও ১৫ টাকা ৭০ পয়সা দর বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল বাজারে নেতৃত্ব দেয় গ্রামীণফোন।

১৬ শতাংশ লেনদেন হয়ে প্রকৌশল খাত শীর্ষে উঠে আসলেও এ খাতে ৫৯ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। এসএস স্টিলের ২৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় এক টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে। আট দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়ে বিডি ল্যাম্পস দর বৃদ্ধিতে সপ্তম অবস্থানে উঠে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। স্কয়ার ফার্মার ২৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা ২০ পয়সা। বীকন ফার্মার ১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে দুই টাকা। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৪৩ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দরপতন হয় ৩০ পয়সা। ন্যাশনাল ব্যাংকের আট কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনদেনের পাশাপাশি দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয় ১১ শতাংশ। এ খাতে ৬১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে এক টাকা ৬০ পয়সা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫৮ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। খুলনা পাওয়ারের ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩০ পয়সা। আট শতাংশ বেড়ে মবিল যমুনা বিডি দর বৃদ্ধিতে অষ্টম অবস্থানে উঠে আসে। প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি বেড়ে খাদ্য খাতের জেমিনী সি ফুড, আর্থিক খাতের আইসিবি, টেলিযোগাযোগ খাতের বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট দর বৃদ্ধির শীর্ষ চারে অবস্থান করে। আট দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়ে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ইউনিক হোটেল ও রিসোর্ট, প্রায় আট শতাংশ করে বেড়ে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের এডিএন টেলিকম ও খাদ্য খাতের বঙ্গজ দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে। এর মধ্যে এডিএন টেলিকমের ৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। পাট খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল। সিমেন্ট খাতে ৭১ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণ খাতে ৬৬ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে কোনো কোম্পানির দর বাড়েনি।  

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০