নিজস্ব প্রতিবেদক: চার দিন বাড়ালেও এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বিক্রি কমেছে ২৬ কোটি টাকা; রফতানি আদেশও কমেছে ৭৮ কোটি টাকা। গতকাল রোববার ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এবার ২০ মিলিয়ন ডলার বা ১৬৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার রফতানি আদেশ পেয়েছে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো। এছাড়া মেলায় মোট ৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতবারের মেলায় ২৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলারের রফতানি আদেশ এসেছিল। আর মোট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৬ সালে রফতানি আদেশ ছিল ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এর আগে রাজনৈতিক সহিংসতার দুবছর (২০১৫ ও ২০১৪) রফতানির আদেশ ছিল যথাক্রমে ৯৫ কোটি ও ৮০ কোটি টাকা। তার আগের বছর ২০১৩ সালে রফতানি আদেশ এসেছিল ১৫৭ কোটি টাকার।
গত ৩১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের অনুরোধে চার দিন সময় বাড়িয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে এক মাস চার দিন চলেছে এ মেলা। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, এ বছর রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় বাণিজ্যমেলা ‘সফল ও সার্থক’ হয়েছে। রাজধানীর পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলার জন্য নির্ধারিত জায়গা ২০ একর থেকে ৩৫ একরে উন্নীত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে বাণিজ্যমেলা স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ২০২০ সালের মধ্যেই সেখানে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করা হবে।’
বাণিজ্য সচিব সুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘দেশে আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ দেখতে চাই। কোনো ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশ ব্যবসায়ীরা চান না।’
সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব বলেন, পণ্যের পাশাপাশি আমাদের সেবা রফতানির দিকে নজর দিতে হবে। এখন অনেক কোম্পানিই আসছে, যারা সেবা গ্রহণ করতে চাচ্ছে। আমরা সেবা রফতানির ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য স্তরে পৌঁছাতে পারব।