বিক্ষোভের তদন্ত করছে চীন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দেশটির সরকার ও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিরল বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানীর একাধিক সড়কে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির পাশাপাশি দেশটির কর্তৃপক্ষ কভিড-১৯ বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। খবর: রয়টার্স।

বেইজিংয়ের এক পুলিশ কর্মকর্তা গত রোববার রাতে বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক ব্যক্তিকে গতকাল মঙ্গলবার থানায় উপস্থিত হতে বলেন। সেখানে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য দিতে বলেন তিনি।

কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে বিক্ষোভের বিষয়ে জানতে চেয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে বেইজিংয়ের জননিরাপত্তা ব্যুরো বিস্তারিত জানায়নি।
বিক্ষোভের পর চীনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুরু হওয়ায় কভিড বিধিনিষেধবিরোধী বিক্ষোভের ইতি ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

চীনের প্রধান বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ে বিক্ষোভের প্রধান রুট বরাবর রাস্তার দুপাশে নীল রঙের বড় দীর্ঘ ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। তারা বিক্ষোভের ছবি তুলতে চেষ্টা করা লোকজনকে বাধাও দিয়েছে এবং তাদের মোবাইল ফোন থেকে ছবি মুছে ফেলেছে।

গত রোববার সাংহাইয়ে এক বিক্ষোভ কভার করার সময় বিবিসির এক সাংবাদিককে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় এড লরেন্স নামের ওই সাংবাদিককে পুলিশ মারধর করেছিল ও লাথি মেরেছিল বলে জানা গেছে। অবশ্য আটকের কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ দুই শহরের বাইরে চেংদু ও উহানের মতো জনবহুল এলাকায় লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভের অসংখ্য ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এ-সংক্রান্ত ছবি ও পোস্ট যেন ব্যবহারকারীরা না দেখে বা এ বিষয়ে আলোচনা না করে, তা নিশ্চিত করতে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোয় ব্যাপক সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়। লাখ লাখ ছবি সরিয়ে নেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, কভিড মহামারি শুরু হওয়ার পর তিন বছর ধরে চীনের নেয়া কঠোর নীতি নিয়ে ক্ষোভ থেকে সপ্তাহান্তে একাধিক শহরে বিক্ষোভ হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০