বিচারপতিদের সমান সুবিধা পাবে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচারপতিদের সমান সুযোগ-সুবিধা চেয়ে আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য কমিশনাররা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া শুধু সিইসি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

গতকাল সোমবার কমিশন সভায় সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন, ২০২৩’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

জানা গেছে, অনুমোদিত খসড়া আইন আকারে পাশের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

এর আগে, গত ৩১ জুলাই আচমকাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তবে ওই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়নি। যদিও সিইসি বলেছিলেন, তার অফিস (নির্বাচন কমিশন সচিবালয়) পরে সাক্ষাতের বিষয়ে বিস্তারিত

 জানাবে। পরে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আর কিছুই জানায়নি ইসি। তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই ইসির প্রতিনিধিদল সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার পর ২২ দিনের মাথায় বিশেষ আইনের খসড়া অনুমোদন করল ইসি।

নির্বাচন কমিশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ আইনে আরও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হচ্ছিল। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসি’র গত ৩১ জুলাই যে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেখানেও এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শুনেছি।

কমিশন সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩-এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৯৮৩ সালের যে অর্ডিনেন্স আছে, সেটা বাংলায় করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকার ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সামরিক শাসনমালে যেসব আইনগুলো ছিল, সেগুলো বাংলায় আইন করা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মাননীয় কমিশনের নির্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩ আজ কমিশন সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সচিব বলেন, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা যে সুযোগ-সুবিধা পাবেন, সিইসিও সেই সুবিধা পাবেন এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা যে সুযোগ-সুবিধা পাবেন, নির্বাচন কমিশনাররাও সেই সুবিধা পাবেন।

অপরদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র চার মাস। এ সময়ের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক সব ধরনের কর্মযজ্ঞ শেষ করতে হবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০