Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:07 pm

বিচার বিভাগ এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায়: আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচার বিভাগ যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, দেশে ন্যায়বিচার হয় না- এটা বোঝা গেছে। যার প্রমাণ তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সাজা। কারণ জুবাইদা রহমানকে সরকার ভয় করে। আগামী নির্বাচনে তিনি আসলে ভয়। কিন্তু এসব তো ভেসে যাবে। তাহলে জায়মা রহমানকে বাদ রাখলেন কেন? আপনি যার সঙ্গেই নির্বাচন করবেন দাঁড়াতে পারবেন না। সুতরাং যা করছেন তার প্রতিদান পাওয়ার আগেই সরে দাঁড়ান।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ।

আমীর খসরু বলেন, বিচার বিভাগ হলো এখন পুলিশের এক্সটেনশন। তারা এখন সবার সামনে চলে এসেছে। এটা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে তা বিচার বিভাগের রায় নয়। এটি একটি ফ্যাসিস্ট রেজিমের রায়। যারা জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় বসে আছে। আইনের নামে যত বেআইনি কাজ আছে সবই করে যাচ্ছে। অসাংবিধানিকভাবে সংবিধান সংশোধন করেছে। বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ যার যার অবস্থান থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা। কিন্তু অসাংবিধানিকভাবে সংবিধান সংশোধন করার কারণে দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে সবই একাকার হয়ে গেছে। কারণ সত্যিকার অর্থে সাংবিধানিকভাবে দেশ পরিচালনা হলে ফ্যাসিস্ট রেজিমের অস্তিত্ব থাকবে না। অবৈধ সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না। এজন্যই তারা জবাবদিহিতা চায় না।

তিনি আরও বলেন, যারা ফ্যাসিস্ট তারা তো স্বচ্ছতা চাইবে না। কারণ জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করতে হবে। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে হবে। সেজন্যই তো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা ব্যাংক লুট করে শেয়ার বাজার লুট করে। অথচ জিয়াউর রহমান একটি মুক্ত অর্থনীতি চালুর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত করেছিলেন। এখন হচ্ছে আওয়ামী মডেল অর্থনীতি।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে সাজা দিয়েছে সেখানে বিচারকের করার কিছু নেই। কারণ এটা তো সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসে। যা সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা এমনকি বর্তমান বিচারকরাও বলেছেন। সুতরাং তাদের কাছে কোনো প্রত্যাশা করে লাভ নেই।

খসরু আরও বলেন, আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হলে এই ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিদায় ঘটাতে হবে। তারেক রহমানের ২৭ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র নতুনভাবে মেরামত করতে হবে। এজন্য এই সরকারের বিদায় ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, দেশ আজ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা সম্পর্কে দেশবাসীকে জানানো দরকার। ১৪ আগস্ট একটি বই প্রকাশ করা হবে। যেখানে মিডিয়ার রিপোর্ট তুলে ধরা হবে। সেরকমভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হবে। দেশের বিচার বিভাগ আজ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে সেটা নিয়ে দেশে বিদেশে তুলে ধরতে হবে।