নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠকে বসছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থপনা পরিচালক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলেছে বিএসইসি।
সম্প্রতি এ বিষয়ে এক চিঠি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে বিএসইসি। সেই সঙ্গে বিষয়টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। এদিন সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
বিএসইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের পর্ষদ এবং এমডিকে ১৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে একটি সভায় উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ, কোম্পানিটি টানা সাত বছর পর মুনাফা বাড়ায় ২০২১-২২ হিসাব বছরে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দেড় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর আগে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের ২০১৪ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ডিএসইর তথ্য মতে, ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা। সেখান থেকে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য দেড় শতাংশ নগদ অর্থাৎ ১৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেবে। অর্থাৎ কোম্পানিটির দুই কোটি ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৮৩৬টি শেয়ারের বিপরীতে ৪০ লাখ ৩৮ হাাজার ৪২৫ টাকা দেবে। বিদায়ী বছরে কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৯১ লাখ ৮ হাজার ২২৪ টাকা। বাকি টাকা কোম্পানির রিজার্ভে রাখা হবে।
এর আগের বছর ২০২১ সালে কোম্পানির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ২২ পয়সা। অর্থাৎ ৯১ লাখ ৮ হাজার ২২৪ টাকা লোকসান ছিল। সেই লোকসান কাটিয়ে কোম্পানিটি মুনাফায় ফিরেছে। সবমিলিয়ে কোম্পানির ২০১৪ সালের পর এই প্রথম শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিল। ২০১৪ সালে শেয়ারহোল্ডার ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। তারপর থেকে কোম্পানিটি লোকসান দেখিয়ে আসছে। ২০০২ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা সাত বছর যথাক্রমে, ১০, ১২, ১৫, ১০, ১০, ১৫ এবং ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। তবে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এই প্রথম।
