নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়Ñএমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
পাখির ব্যবসা
পাখির কিচিরমিচির শুনতে সবারই ভালো লাগে। নানা প্রজাতির বাহারি রঙের দেশি-বিদেশি পাখির কিচিরমিচির শব্দ সে ভালোলাগা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই অনেকে শখের বসে পাখি পোষে। সে শখ আবার রূপ নেয় ব্যবসায়। এ দুয়ে মিলে সফল করে তোলে অনেক মানুষকে। বদলে দিতে পারে তাদের জীবন। তাই আপনিও শুরু করতে পারেন এ ব্যবসা। পাখির প্রতি প্রায় সবার কমবেশি আগ্রহ রয়েছে, তাই এর চাহিদাও রয়েছে। এ ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।
পাখির ধরন
এ ব্যবসায় সাধারণত দেশীয় পাখির পরিবর্তে বিদেশি পাখি বাছাই করতে হবে। বিদেশি পাখি বা কেসবার্ড পাখি পালন করতে হবে। কারণ দেশীয় পাখি বিদেশি পাখিদের মতো খাঁচায় থাকতে পারে না। মূলত যেসব পাখি জš§ থেকেই খাঁচায় থাকে, খাঁচায় নিরাপদবোধ করে এ ধরনের পাখিকে কেসবার্ড বা খাঁচার পাখি বলা হয়। এ ধরনের খাঁচার পাখি বাড়তি সৌন্দর্যের জন্য বাড়িতে রেখে পালন করা হয়। এসব পাখি দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। এসব পাখির মধ্যে থাকতে পারে বাজরিকা, লাভ বার্ড, প্রিন্স, ককাটিয়েল, জাভা, অস্ট্রেলিয়ান রিংনেকড ঘুঘু ও ফ্যান্সি জাতের কবুতর, বিদেশি হলুদ-নীল-লাল টিয়া প্রভৃতি।
সুবিধা
পাখির ব্যবসা অন্য ব্যবসার থেকে একেবারে ভিন্ন প্রকৃতির। মনের আনন্দে পাখি পুষে স্বাবলম্বী হতে পারে যে কেউ। তাছাড়া অল্প পুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করা যায়। পাখির ব্যবসার জন্য তেমন শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না। তবে অভিজ্ঞতা ও ধারণা থাকতে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে এ ব্যবসা।
যা করতে হবে
বাড়ির ছাদ বা খোলা জায়গায় পাখি পোষার উপযুক্ত জায়গা ঠিক করতে হবে। অভিজ্ঞতা ও ধারণা পেতে কয়েকটি ফার্ম ভিজিট করতে হবে। পাখি কি পরিমাণ খাবার খায়, কোন ধরনের পাখি বেশি লাভবান, পাখির রোগবালাই প্রভৃতি সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। পাখির ধরন বুঝে খাঁচা কিনতে পারেন কিংবা বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর খাঁচায় রেখে এসব পাখি পালন করতে হবে। এ ধরনের পাখিদের বংশ বিস্তার দ্রুত হয়। তাই সহজে ব্যবসার প্রসার ঘটানো সম্ভব। ডিম থেকে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত এক খাঁচা ও পরে অন্য খাঁচায় স্থানান্তর করতে হবে। পাখির চাহিদা অনুযায়ী সরষে, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, ক্ষুদ প্রভৃতি খাবার দিতে হবে।
আয়–ব্যয়
শুরুতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে ছোট পরিসরে ব্যবসাটা শুরু করুন। এরপর লাভের টাকা দিয়ে পরিসর বড় করুন। এ সময় ব্যয়ের পরিমাণ ৮০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা হতে পারে। প্রজাতি ভেদে নানা পাখি নানা দামে বিক্রি করে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বাজারজাতকরণ
সাধারণত পরিচিত ব্যক্তি, আত্মীয় ও বন্ধুরা আপনার ক্রেতা হতে পারেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগে পছন্দের পাখিগুলোর ছবি দিয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রসার বাড়াতে পারেন।