Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 3:49 am

বিজনেস আইডিয়া:প্রসাধনীর ব্যবসা

নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে, কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন

শারীরিক সৌন্দর্যকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি আমরা। এজন্য যতœআত্তির শেষ নেই যেন। সৌন্দর্য ধরে রাখা কিংবা বাড়াতে পোশাক-পরিচ্ছদ বিশেষ ভূমিকা রাখে। এখানেই সীমাবদ্ধ নয়, সৌন্দর্যের জন্য চাহিদা রয়েছে প্রসাধনীরও। এর আবেদন যেন ফুরাবার নয়। তাই ব্যবসায়ে আগ্রহী হলে এ সুযোগটিকে কাজে লাগাতে পারেন। চাহিদা বিবেচনায় এটি বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। এসব সামগ্রী যে শুধু নারীরা ব্যবহার করেন তা নয়, পুরুষদেরও আকর্ষণ রয়েছে প্রসাধনীর প্রতি। তাই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন আপনিও।

শুরুর আগে

বুদ্ধি করে একটি বিপণন কৌশল তৈরি করে তারপর ব্যবসা শুরু করা প্রয়োজন। কারণ এ ব্যবসায় অনেক প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নতুন প্রসাধনী ব্যবসা চালু করার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে তাদের মোকাবিলা করতে হবে। তাই এ ব্যবসায় পরিকল্পিত উপায়ে এগোতে হবে। ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কসমেটিকসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ব্যবসার ধরন

কসমেটিকস ব্যবসায় বিভিন্ন ধরন রয়েছে। যেমন: প্রসাধনী পণ্য উৎপাদন, প্রসাধনী শপ, অনলাইনে বিক্রি প্রভৃতি। আপনার সুবিধা অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন এর কোনোটি। দোকান দিতে চান? তাহলে পণ্য আমদানি করে বিক্রি করতে পারেন। শুধু দেশে-ই নয়, বিদেশ থেকেও আমদানি করে খুচরা বিক্রি করতে পারেন।

কীভাবে শুরু করবেন

ব্যবসায় সাফল্যের জন্য শুরুতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। এরপর কোনো ব্যাংক বা ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে হবে। এ ব্যবসায় নামকরণ থেকে শুরু করে এর স্থান নির্ণয়ের জন্য কিছুদিন বাজারগুলোতে ঘুরে গবেষণা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, মূলধন অনুযায়ী স্থান নির্বাচন করা উচিত। প্রসাধনী সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। কোন কোন পণ্যের চাহিদা বেশি কিংবা নারীরা আগ্রহী, সেসব পণ্যের একটা তালিকা করতে হবে।

যেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করা যাবে

#     চকবাজার

#     লাগেজ পার্টি

#     আমদানি

আয়ব্যয়ের হিসাব

কসমেটিকস ব্যবসায় প্রথমদিকে প্রতিষ্ঠান ও পণ্যসহ প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা প্রয়োজন। পরবর্তী সময়ে শুধু পণ্য কেনার জন্য মূলধনের প্রয়োজন হবে। ভালোভাবে চালাতে পারলে এর আয় আসবে মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এরপর ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠান বাড়িয়ে ভালো আয় করা সম্ভব।

সাবধানতা

যে কোনো ব্যবসার শুরুতে কিছু সমস্যা উদ্ভব হতে পারে। তাই নিজ থেকে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভেজাল পণ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। এসব সামগ্রীতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে নকল পণ্য তৈরি করেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। নকল পণ্য এড়িয়ে চলতে অবশ্যই সাবধান থাকতে হবে। পণ্য চকচকে দেখে কেনা যাবে না। পণ্য কেনার সময় অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিতে পারেন। এসব বিষয়ে সচেতন না হলে ব্যবসায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।