নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে, কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায়, এমন বিজনেস। এ ধরণের উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
অনলাইনে স্বাস্থ্য পরামর্শ ও সেবা
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তিনটি অনলাইন সেবার একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা। ঘরে বসে স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ গ্রহণ সব দেশেই জনপ্রিয়। যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি, ফ্যামিলিডক্টরডটঅর্গ, হেলথফাইন্ডারডটগভ, সিএনএন হেলথে ঢু মারেন।
আমাদের দেশেও হেলথ প্রিয়র২১ ডট কম (www.healthprior21.com) নামে একটি ওয়েব পোর্টাল এ ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য প্রদান ও ভুক্তভোগীর দুর্ভোগ দূর করাই এর লক্ষ্য। বাংলাদেশের বাইরে ভারতের পূর্বাঞ্চল, নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারেও চালু রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সেবা।
হেলথ প্রিয়রের মতো ওয়েবভিত্তিক একটি সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করতে পারেন আপনিও। পছন্দমতো স্বাস্থ্যসেবা জানার ও পাওয়ার প্রবেশাধিকার দিতে পারেন দেশের ও দেশের বাইরের মানুষকে। অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রথমে কিছু ফ্রি হেলথকেয়ার কোর্স সম্পন্ন করে নেওয়া ভালো। সাইমনস অনলাইন মাস্টার অব পাবলিক হেলথ প্রোগ্রামের আওতায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি ও এমআইটির ৬৫টি ফ্রি কোর্স পাবেন http://mhadegree.org/free-online-healthcare-courses/এ ঠিকানায়। কয়েকটি কোর্স সম্পন্ন করে নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলুন।
পাশাপাশি সমৃদ্ধ করতে থাকুন ওয়েবসাইট। সেখানে ই-ডাক্তারের তালিকা প্রস্তুত করুন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পূর্ণ তালিকা প্রয়োজনীয়। ভার্চুয়াল ডাক্তারসেবা চালু করুন। ই-স্টোর চালু করতে পারেন। ডিরেক্টরিতে রাখুন এলাকাভিত্তিক ডাক্তার, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হেলথ কমপ্লেক্সের তালিকা। নির্ভরযোগ্য তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলুন ওয়েবসাইটে। সর্বশেষ হেলথ টিপস আপডেট করুন প্রতিদিন। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদও আপলোড করতে থাকুন। ওষুধের তথ্য দিয়ে ইনডেক্স তৈরি করুন। ই-লাইব্রেরিতে রাখুন মেডিক্যাল বিষয়ক ই-বুক।
প্রাথমিক কাজ শেষ। এবার প্রচার শুরু করুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ান। স্ট্যাটাস দিতে থাকুন। সেবার ধরন পরিষ্কার করুন গ্রাহকের কাছে। ফেসবুক পোস্ট বুস্ট করে নিতে পারেন ক্রেতারা আকৃষ্ট হবেন। মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। মার্কেটপ্লেসে ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের ঝামেলা পোহাতে হয় না। সেবার ধরন অনুযায়ী ওয়েবসাইটে খরচাপাতির হিসাব দিয়ে রাখুন। সময়, ফোন নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ করুন। ওয়েবসাইটে লগ অন সুযোগ রাখুন সেবাপ্রার্থীরা যাতে সহজে সেখানে প্রবেশ ও সেবা পেতে পারেন। অগ্রিম অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। একই সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সেবাও চালু করতে পারেন।
অনলাইনের পাশাপাশি চলবে অফলাইন মার্কেটিংও। এ প্রসঙ্গে প্রথমে আসে লিফলেট অথবা হ্যান্ডবিলের কথা। জনসমাগম বেশি হয় এমন স্থানে পোস্টারিং করুন। নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ও ওয়েব ঠিকানার পাশাপাশি সেবা সম্পর্কে একটা ধারণা জুড়ে দিন পোস্টারে। বিজনেস কার্ড তৈরি করুন। স্থানীয় ক্লিনিক, হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আপনার অনলাইন সেবা সম্পর্কে সবাইকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যান্য বড় ও প্রচলিত চিকিৎসাকেন্দ্রে না গিয়ে কেন গ্রাহক আপনার সেবা নেবেন, সে সম্পর্কে ধারণা দিন।
Add Comment