নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
শহরে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে নানা ধরনের খাদ্যের চাহিদা। ব্যস্ততার কারণে অনেকে যাচাই-বাছাইয়ের অভাবে সঠিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও নির্ভেজাল খাবার কিনতে পারছেন না। বিভিন্ন দোকানে যা পাচ্ছেন, তা-ই কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন। বলতে গেলে রেডিমেড খাবারের প্রতি প্রায় সবাই ঝুঁকে পড়ছেন। এসব খাবারের একটি দুধ, যা তরল আকারে দোকান থেকে সংগ্রহ করে পুষ্টির চাহিদা মেটানো হয়। কিন্তু এ দুধেই কি সঠিক পুষ্টিগুণ পাওয়া যাচ্ছে? কেননা ভেজালের ভিড়ে খাঁটি দুধ পাওয়া কষ্টসাধ্য। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে খাঁটি গরুর দুধ বিপণন শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসা চালু করলে লাভের মুখ দেখা সম্ভব। ব্যবসাটি অনলাইনেও পরিচালনা করতে পারবেন।
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি দুধের সন্ধান পাওয়া বেশ দুরূহ। তবে এর চাহিদা রয়েছে সবাই চায় খাঁটি দুধ সংগ্রহ করতে। এ কারণে বাসাবাড়িতে খাঁটি দুধ সরবরাহ করতে পারেন। এটি যেমন কম পরিশ্রমের, তেমনি সহজ একটি ব্যবসা। এতে পুঁজিও তুলনামূলক কম লাগে, লাভ বেশি। এজন্য আপনাকে নির্দিষ্ট স্থানে দোকান দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
যা প্রয়োজন
# দুধের জার কয়েকটি
# একটি বাইসাইকেল (যাতায়াত সুবিধার জন্য)
# দুধ মাপার পোয়া
যেভাবে শুরু করবেন
ব্যবসাটি শুরু করার আগে অবশ্যই এর বাজার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কোথায় খাঁটি দুধ পাওয়া যায়, সে খোঁজখবর রাখা জরুরি। একেক জায়গায় একেক দামে পাওয়া যায়, তাই সব জায়গা নখদর্পণে রাখুন। লিটারে কত টাকা মুনাফা করবেন, আপনি কত টাকায় বিক্রি করবেনÑএসব হিসাব ঠিক করে নিন। এরপর জনবহুল এলাকা বেছে নিন, যেখান থেকে ব্যবসাটি শুরু করবেন।
যেখান থেকে দুধ কিনবেন
ঢাকার সাভার উপজেলা ও আমিন বাজারে বেশ কয়েকটি গরুর খামার রয়েছে। এসব এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম দামে গরুর দুধ বিক্রি হয়। রাজধানীর আশেপাশের গ্রাম থেকেও গরুর খাঁটি দুধ পাইকারি দরে কিনতে পারেন।
সরবরাহ করবেন যেভাবে
ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি নাম নির্ধারণ করতে হবে। এরপর যে এলাকা বিক্রির জন্য বাছাই করেছেন, সেখানে নামটি দিয়ে পরিচিত হোন। এর সঙ্গে তালিকা করুন কোন বাড়িতে সরবরাহ করবেন। এভাবে শুরু করতে পারেন। ভোক্তাদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে কম দামে সরবরাহ করুন।
সতর্কতা
সবসময় লক্ষ রাখবেন, যেখান থেকে দুধ কিনছেন, সেখানকার দুধের মান যেন ভালো হয়। কোনোভাবেই পানি মেশানো যাবে না। দুধ কখনো রেফ্রিজারেটরে রাখবেন না। এতে দুধের গুণগত মান নষ্ট হয়।
কামরুন নাহার ঊষা