নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
গোলাপজল এক ধরনের তরল সুগন্ধি। সাধারণত কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এর ব্যবহার চোখে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন খাবার তৈরির জন্য এই জল ব্যবহার করা হয়।
ঘরে বসে গোলাপজল তৈরি করে নিজের কর্মসংস্থান করতে পারেন আপনিও। গোলাপজল প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম দুভাবেই তৈরি করা যায়।
সুবিধা
পুঁজি কম লাগে। লাভ বেশি
উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজ
উৎপাদন প্রক্রিয়া জানা না থাকলে সহজে অন্য উদ্যোক্তার কাছ থেকে শিখে নেওয়া যায়
পরিবারের সব সদস্য এ ব্যবসায় জড়িত থাকতে পারেন
জায়গা কম লাগে
সাবধানতা
গোলাপ ফুল বাছাই করার সময় ভালো মানের ফুল সংগ্রহ করতে হবে
সুগন্ধির দিকে খেয়াল রাখতে হবে
বাজার সম্ভাবনা
শহর-গ্রাম সব জায়গাতেই গোলাপজলের চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় গোলাপজলের চাহিদা বেশি থাকে। গোলাপজল তৈরি করে মুদি, মনিহারি দোকানে পাইকারি ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে খুচরা দামে বিক্রি করা যায়।
বাজারের যে স্থানে লোকসমাগম বেশি সেখানে স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী দোকান দিয়ে বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়া মাজারের আশেপাশের দোকানে বিক্রি করা যায়।
স্থানীয় অথবা জাতীয় পর্যায়ের বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিক্রি করা যায় কি-না সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে পারেন।
উপকরণ
গোলাপফুল, মাটির বড় পাত্র, তুলা,
অটো ডি রোজ, ম্যাগনেসিয়া, প্লাস্টিক বোতল প্রভৃতি।
পুঁজি
৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। তবে বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চাইলে টাকার পরিমাণ বাড়বে।
লাভ
গোলাপজল কাচের কিংবা প্লাস্টিকের বোতলে বিক্রি করতে হবে। গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় নিয়ে তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার মিলিলিটার গোলাপজল তৈরি করা যায়। ২০০ মিলিলিটার গোলাপ নির্যাস দিয়ে ১৮ থেকে ২০ বোতল গোলাপজল তৈরি করা যায়। প্রতি বোতল ১৫ থেকে ২০ টাকা।
প্রশিক্ষণ
বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। তবে অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। ধৈর্যশীল হলে এ ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবেন।
শিপন আহমেদ