রাহাতুল ইসলাম: নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন অল্প পুঁজিতে বাজরিগার পাখি বিক্রি ব্যবসা একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে।
বাজরিগার পাখি দেখতে বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। সৌখিন লোকেরা বাসার সৌন্দর্য বাড়াতে পালন করেন বাজরিগার পাখি। এ জাতের পাখি পালনের জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন শুধু সঠিক পরিচর্যা। মাত্র ১০ ফুট বাই ১০ ফুট মাপের একটি কক্ষে প্রায় ১০০ জোড়া বাজরিগার পাখি পালন সম্ভব। আসুন জেনে নিই, ১০০ জোড়া পাখি পালনের আয় ও ব্যয়ের হিসাব।
চার মাসের ব্যয়ের হিসাব
১০০ জোড়া বাজরিগার পাখি পালনের জন্য ১০ ফুট বাই ১০ ফুট একটি কক্ষ প্রয়োজন। সাধারণ একটি এলাকায় ভাড়া পড়বে প্রতি মাসে আনুমানিক দুই হাজার টাকা। চার মাসে আট হাজার টাকা
চার মাস বয়সী একজোড়া পাখির দাম
৪০০ টাকা। ১০০ জোড়ার দাম পড়বে ৪০ হাজার টাকা
১০০ জোড়া পাখির জন্য প্রতি মাসে ৩০০ কেজি খাবার দরকার। প্রতি কেজি আনুমানিক ২০ টাকা দরে ৩০০ কেজির দাম ছয় হাজার টাকা। চার মাসে ২৪ হাজার টাকা
চার মাসে ভ্যাকসিন বাবদ খরচ পড়বে আনুমানিক দুই হাজার টাকা
১০০টি কলসি (পাখির বাসা) প্রতিটি ১৫ টাকা করে মোট এক হাজার ৫০০ টাকা
চার মাস পর্যন্ত আনুমানিক খরচ হবে ৭৫ হাজার টাকা।
লাভের দিক
বাজরিগার পাখি আট মাস বয়স থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে। অর্থাৎ পাখি কিনে খাঁচায় পরিপালনের চার মাস বয়স থেকে ডিম দেওয়া শুরু করবে। তখন ১০০ জোড়া পাখি থেকে প্রায় ৩০০ জোড়া বাচ্চা পাওয়া যাবে। দু’মাস বয়সী প্রতি জোড়া বাচ্চা বিক্রি করা যাবে ৩০০ টাকা দরে। অর্থাৎ ৩০০ জোড়া বাচ্চা বিক্রি করে আয় করা যাবে ৯০ হাজার টাকা। এ হিসাবে ব্যয় তুলে আনতে সময় লাগবে আনুমানিক চার মাস। খুব সহজেই প্রতি মাসে সব ব্যয় বাদে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় ব্যয় করে চার মাসের মধ্যে মূল প্রাক্কলিত ব্যয় ফেরতসহ মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা খুবই সহজ।
কোনো উদ্যোগের শুরুতে কাজ সম্পর্কে চিন্তা ও পরিকল্পনা করতে হবে। সফলতার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সফলতা না আসা পর্যন্ত চেষ্টা করতে হবে।