নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
বেত দিয়ে মোড়া তৈরি ও বিপণন একটি লাভজনক ব্যবসা। কেননা, এ ব্যবসায় ব্যয় কম, আয় তুলনামূলক বেশি। বেতের তৈরি নানা নকশার মোড়ার চাহিদা রয়েছে। কাঠ কিংবা প্লাস্টিকের ভিড়ে কমে পাওয়া যায় বেতের মোড়া। ফলে বেশি বিক্রি করে লাভ করা যায়। সুতরাং নিজেকে একজন স্বাবলম্বী ও মাঝারি ধরনের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বেত দিয়ে মোড়া তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাছাড়া দেশীয় নকশার পাশাপাশি বিদেশি নকশা করেও ক্রেতাকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন।
কেন শুরু করবেন: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেতের তৈরি মোড়ার চাহিদা বেড়ে চলেছে। এ ব্যবসায় ঝুঁকি কম। এ কারণে যে কোনো উদ্যোক্তা ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন। অল্প টাকা বিনিয়োগ করে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব এ ব্যবসার মাধ্যমে। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পেলে রফতানিরও সুযোগ রয়েছে।
যা প্রয়োজন: বেত, ফিতা, রশি, আঠা, বড় কাঁচি, বিভিন্ন ধরনের রঙ প্রভৃতি।
যেভাবে শুরু করবেন: ব্যবসার শুরুতে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। বেত কোথা থেকে কিনবেন, কোন ধরনের বেত ভালো, কীভাবে তৈরি করবেন, পাশাপাশি বেতের তৈরি মোড়া কোথায় বিক্রি করবেন, দাম কেমন হতে পারে এসব প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য দরকার প্রশিক্ষণ। তারপর আয়-ব্যয়ের হিসাব জানা প্রয়োজন।
প্রস্তুত প্রণালি: প্রথমে ভালো মানের বেত কিনতে হবে। কাঁচা হলে শুকিয়ে নিতে হবে। কাঁচা কিংবা সবুজ থাকা অবস্থায়ও তৈরি করতে পারেন। তবে শুকিয়ে নেওয়াই ভালো। এরপর খাঁচার আকৃতিতে মোড়া বুনতে শুরু করুন। বিভিন্ন নকশায় মোড়া তৈরি করা যায়। তৈরি হয়ে গেলে আকর্ষণীয় করতে নানা রঙ ব্যবহার করতে পারেন।
বাজারজাতকরণ: গ্রামের পাশাপাশি শহরেও বেতের মোড়ার চাহিদা রয়েছে। এখন ঘর সাজানো হয় বেতের তৈরি নানা আসবাব দিয়ে। ঘরে কাঠের চেয়ারের বিকল্প হিসেবে বেতের চেয়ার-মোড়া ব্যবহার করছেন অনেকে। তাই ফার্নিচারের দোকানগুলোয় পাইকারি দরে বিক্রি করতে পারেন। আবার ফেরি করেও বিক্রি করা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন মেলায়ও এ পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
যোগ্যতা: ব্যবসাটির জন্য বিশেষ কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন পড়ে না। কয়েক দিনের প্রশিক্ষণ নিলে মোড়া তৈরি করা সম্ভব।