নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
সংগীতপ্রিয় জাতি হিসেবে আমাদের সুনাম রয়েছে। গান ভালোবাসে না এমন মানুষ এখানে পাওয়া হয়তো যাবে না। কনসার্ট, অফিস পার্টি, পারিবারিক অনুষ্ঠান এখন গান ছাড়া যেন জমেই না। আর গানের সঙ্গে ডাক পড়ে সাউন্ড সিস্টেম ও লাইটিংয়ের। সাউন্ড সিস্টেম ও লাইট ভাড়া দিয়ে তাই করতে পারেন আয়।
সুবিধা
এ ব্যবসার প্রধান সুবিধা একবার বিনিয়োগ করলে পরিচালন ব্যয় ছাড়া আর তেমন কোনো খরচ নেই। বাদ্যযন্ত্রগুলো সহজে নষ্ট হয় না। এগুলো থাকে দীর্ঘস্থায়ী।
বাজার সম্ভাবনা
বিয়ে, গায়েহলুদ, জন্মদিন, কিংবা কনসার্ট, বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, পার্টি সেন্টার, হোটেল প্রভৃতি স্থানে প্রয়োজন পড়ে।
যন্ত্রপাতি
একটি সিঙ্গেল পেয়ার সাউন্ড সিস্টেমে সাধারণত দুটি স্পিকার, দুটি মনিটর, একটি স্পিকার পাওয়ার, একটি মনিটর পাওয়ার, কনসোল, ভয়েস প্রসেসর, ছয় থেকে আটটি মাইক্রোফোন, স্ট্যান্ড, ক্যাব পাওয়ার বোর্ড লাগবে। আলোকসজ্জার জন্য প্রয়োজন হবে বিভিন্ন ধরনের লাইট। যেমন ইফেক্ট, জোবো, লেজার প্রভৃতি। স্মোকের জন্য প্রয়োজন ফক মেশিন, পাওয়ার বোর্ড, লাইট স্ট্যান্ড ও ক্যাব। এক পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করা যায়। তবে বড় আকারে করতে চাইলে যন্ত্রপাতির পরিমাণও বাড়াতে হবে।
যোগাযোগ
এ ব্যবসায় সফলতার মূলে রয়েছে যোগাযোগ দক্ষতা। যার যোগাযোগ যত বেশি, এ ব্যবসায় সফল হওয়ার সম্ভাবনা তার তত বেশি। কাজ পেতে শুরুতে পরিচিত মাধ্যম খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য আপনি জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও ডিজেদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারেন।
পুঁজি
প্রাথমিক পুঁজি লাগবে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা। এ ব্যবসায় একবার বিনিয়োগ করলেই চলে। পরে যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া আর তেমন কোনো খরচ নেই। তুলনামূলক বেশি দাম দিয়ে ভালোমানের যন্ত্রপাতি কিনলে যেমন টেকসই হবে, তেমনি ব্যবসার সুনামও বৃদ্ধি পাবে।
লাভ
সাধারণত ছোট অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিটি পেয়ারের ভাড়া তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা। পেয়ারসংখ্যা বাড়লে ভাড়াও বাড়বে সে হারে। শুরুতে কম লাভ হতে পারে। সময় ও পরিচিতির সঙ্গে আয়ও বাড়তে থাকবে। যন্ত্রানুষঙ্গ বেশি থাকলে বড় অনুষ্ঠান, কনসার্টের জন্য অর্ডার পাওয়া যাবে। ব্যবসায় ভালো আয়ের জন্য যোগাযোগ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে হবে।
যোগ্যতা
সাউন্ড সিস্টেম পরিচালনায় বাস্তব জ্ঞান থাকতে হবে। সাউন্ড সিস্টেম ও লাইটিং পরিচালনার জন্য লাগবে একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, একজন লাইন ডিজাইনার ও দুজন সুপারভাইজার বা স্টেজম্যান।
শিপন আহমেদ