নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন বিজনেস। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
বুক ক্লাব
প্রথমে নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন বুক ক্লাব তৈরি করবেন? এ ক্লাব থেকে কী পাওয়ার আশা রাখছেন? কোন ধরনের মানুষ সদস্য হবেন? ফিকশন নাকি নন-ফিকশন? নাকি সব ধরনের বই পাওয়া যাবে সেখানে? আপনার সংগ্রহে কী বই রয়েছে? বইয়ের পাশাপাশি কি এক্সপ্রেসো কফি মেশিন রাখতে চান? ঋতুভেদে ক্লাবের পরিবেশ নিয়ে ভাববেন?
উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার জানা থাকলে নেমে পড়–ন বুক ক্লাব তৈরি করতে। প্রথমে থাকার জায়গায়ই শুরু করতে পারেন। জায়গা নির্ধারণ হয়ে যাওয়া মানে অর্ধেক কাজ শেষ। ঢাকা শহরের কথাই ধরুন, ধুলোবালি দূষণের এ শহরে আড্ডা দেওয়ার জায়গার বড় অভাব। এক্ষেত্রে এলাকার অনেকে আপনার ক্লাবে আড্ডা দিতে আসতে পারেন। কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গল্পগুজব করতে পারবেন তারা। নিরিবিলি পরিবেশে বই-পত্রিকা পড়তে পারবেন।
তাহলে আর দেরি কেন? সংগ্রহ করে ফেলুন নানা ধরনের বই। আপনার সংগ্রহে বই থাকুক বা না থাকুক, দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে বই ধার করতে পারেন। আপনিও অর্থের বিনিময়ে বই ধার দেওয়া চালু করতে পারেন।
কয়েকটি শেলফ কিনুন। সাজিয়ে রাখুন বইগুলো। রেজিস্টার খাতা মেইনটেইন করুন। ধার দেওয়া বই ফেরত পাওয়ার বিষয়ে শর্ত জুড়ে দিতে পারেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন ক্লাবটি। বইয়ে যেন ধুলাবালি না জমে, সেদিকে নজর দিন। আলোর ব্যবস্থা রাখুন। সাপ্তাহিক বই আড্ডার আয়োজন করতে পারেন। প্রতি মাসে একজন সেরা পাঠক নির্বাচন করে বই উপহার দিতে পারেন।
কেমন হয় একটি বা দুটি কম্পিউটার থাকলে? এখন অল্প খরচে ওয়াইফাই কানেকশন পাওয়া যায়। সময় কাটানোর জন্য কেউ কেউ ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন।
সদস্য বাড়াতে এবার প্রচার শুরু করুন। বাসার সামনে পোস্টারিং করতে পারেন। ছোট লিফলেট লাগাতে পারেন। এলাকার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে হ্যান্ডবিল বিলি করতে পারেন। জনসমাগম বেশি হয় এমন স্থানে পোস্টারিং করতে পারেন। ফেসবুকে ক্লাবের একটি ফ্যানপেজ চালু করুন। নতুন বই, আড্ডাসংক্রান্ত খবর ফেসবুকে আপলোড করুন।