Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 12:09 pm

বিজনেস আইডিয়া

নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে, কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন বিজনেস। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন ডিজিটাল সহকারী

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাই। বিজ্ঞপ্তিটা অনেকটা এরকম: ‘আপনি কি প্রযুক্তিগত বিষয়ে ন্যূনতম ধারণা রাখেন? বাড়িতে বসে কাজ করতে চান? নতুন কিছু জানতে আগ্রহী? তাহলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য এখনই আবেদন করুন। আপনার দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে অ্যামাজন সেলের একটি রিপোর্ট তৈরি। সপিফাই ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। ফেসবুকে পেজ তৈরি করতে হবে। ডেডলাইনের আগে কাজ শেষ করতে হবে। ঘণ্টায় আপনার বেতন ৪ ডলার। কাজের মান অনুযায়ী বেতন বাড়ানো হবে।’

এ ধরনের কাজের জন্য আপনিও উপযুক্ত। চাইলে এখনই শুরু করে দিতে পারেন এ কাজ। ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও পরিচিত ডিজিটাল সহকারী পেশা। তারা ঘরে কিংবা বাইরে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে কাজ করেন। ৯টা  থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিসে সময় কাটানোর বালাই নেই। নিজেদের সময় সুবিধামতো তারা কাজ করে থাকেন। তবে ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

কর্মক্ষেত্রের প্রচলিত ধারণা বদলে দিয়েছে ভার্চুয়াল সহকারীরা। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে এর জনপ্রিয়তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ কর্মীই অনলাইনভিত্তিক। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে তা ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশে উন্নীত হবে।

মার্কিন মুলুকের বাইরে ডিজিটাল সহকারী হিসেবে ফিলিপিনোদের বেশ নামডাক রয়েছে। অনভিজ্ঞ একজন কর্মী ঘণ্টায় তিন থেকে পাঁচ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন। অর্থাৎ চাইলে আপনিও নিজেকে একজন ডিজিটাল সহকারী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও চলবে। তবে প্রযুক্তি ও প্রশাসনিক বিষয়ে দক্ষ হলে আপনি একজন যোগ্য ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

দেশে কিংবা বিদেশের ক্লায়েন্টের হয়ে কাজ করতে পারবেন। আজকাল অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা ও নানা কাজের চাপে ব্যস্ত থাকেন। বেশিরভাগ সময় তাদের সহকারীর প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তারা এক বা একাধিক ভার্চুয়াল সহকারী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। ভার্চুয়াল সহকারী নিয়োগের ফলে তার অফিসে বসার খরচ, পরিবহন ভাতা, স্বাস্থ্য বিমাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বেঁচে যায়। অনলাইনে কাউকে দিয়ে কাজ করানোর ফলে তাদের কাজের সময়টুকু বেঁচে যায় বৈকি। সুতরাং লুফে নিতে পারেন এমন অফার।