টুম্পা ধর: নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে, কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন পদক্ষেপ হোক বৈচিত্র্যময়
স্বাধীনভাবে চলতে কে না পছন্দ করেন! নিজেকে নিজের নিয়মে চালাতে হলে ব্যবসার জুড়ি নেই। দেখতে দেখতে বৈশাখ চলেই এলো। এ সময়ের সদ্ব্যবহার করে আপনিও একজন সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ভোজনরসিকদের কথা বিবেচনা করে পা ফেলতে পারেন।
বৈশাখ মানেই মিষ্টির ছড়াছড়ি। দেশের নানা স্থান নানা খাবারের জন্য বিখ্যাত। শুরুতে সেখান থেকেই কিছু জনপ্রিয় পদ বেছে নিতে পারেন। বাছাই প্রক্রিয়া শেষে শুরু করতে পারেন কার্যক্রম। প্রিয় মানুষগুলোর কাছে মিষ্টিজাতীয় খাবার পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে গতি পাবে আপনার অর্থনৈতিক সক্ষমতাও।
এর আগে কিছু কাজ সেরে নিতে হবে। বেছে নিতে হবে নির্দিষ্ট জায়গা। একই সঙ্গে আপনার গ্রাহকের চাহিদা ও পছন্দ-অপছন্দ যাচাই করে নিন। সে অনুযায়ী সাজাতে পারেন আপনার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা।
ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী তালিকায় রাখতে পারেন নাটোরের কাঁচাগোল্লা, টাঙ্গাইলের চমচম, বগুড়ার দই, কুমিল্লার রসমালাই, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মণ্ডা, কিশোরগঞ্জের বালিশ মিষ্টি, জামালপুরের ছানার পোলাও, ছানার পায়েস, চাঁদপুরের মতলবের ক্ষীর, ব্র্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী প্রভৃতি। ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনতে উল্লিখিত পদের সঙ্গে রাখতে পারেন মুড়িমুড়কি, বাতাসা, নকুল, কদমা, নিমকি, জিলাপি প্রভৃতি। কয়েকটি পদ সংরক্ষণে কোনো ঝামেলা নেই বললেই চলে। কিছু খাবার রেফ্রিজারেটরে রেখে সংরক্ষণ করা যায়। পাশাপাশি রাখতে পারেন শুঁটকিও, যা চট্টগ্রাম অথবা কক্সবাজার থেকে কিনতে পারেন। এসব স্থানে তুলনামূলক সস্তায় পাওয়া যায় শুঁটকি।
বৈশাখী আবহাওয়ার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। গরম থেকে বাঁচতে মানুষ কী না করে! এজন্য মৌসুমি ফলের ব্যবসা করতে পারেন। সঙ্গে রাখতে পারেন নানা জাতের ফলের জুস। তরমুজ, বাঙ্গি, আম, বেল প্রভৃতি রাখতে পারেন। লেবু রাখতে ভুলবেন না।
ব্যবসার প্রচারে কোনো কমতি রাখবেন না। একটা কথা সব সময় মাথায় রাখবেনÑ‘প্রচারেই প্রসার’। বিভিন্ন পণ্যের ওপর মূল্যহ্রাসের ঘোষণাও দিতে পারেন।
তাহলে আর দেরি কেন? এ মাসেই নেমে পড়ুন মৌসুমি ব্যবসায়। নতুন বছরে শুরু হোক আপনার নতুন পথচলা।
ফ্রিল্যান্স লেখক
Add Comment