নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে, কী দিয়ে শুরু করবেন। এজন্য দরকার অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় এমন ব্যবসা। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে শেয়ার বিজের সাপ্তাহিক আয়োজন
অনেকে সমস্যার কারণে চশমা পরেন। তবে এখন মানুষ শুধু চোখের সমস্যায় এটি ব্যবহার করেন না। সময় বদলেছে। বদলেছে মানুষের দেখার ও ভাবার ভঙ্গি। চশমা হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ। সুন্দর একটি চশমাই পাল্টে দিতে পারে আপনার চেহারা। আপনাকে করে তুলতে পারে ব্যক্তিত্ববান। এখন নানা বয়সী ফ্যাশনেবল মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে চশমা ব্যবহার শিল্প হয়ে উঠেছে। এ শিল্পটি শুধু ফ্যাশনেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, এর বড় উপকারিতা হচ্ছে রোদের তেজ ও পোড়াভাব থেকে মানুষের সুন্দর চোখকে সুরক্ষা দেওয়া। ধুলাবালি ও রোদের তীব্রতা যত বাড়ছে, এর ব্যবহার ততই বাড়ছে। তাই চশমা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনিও।
সুবিধা
খরচ তুলনামূলকভাবে কম
লাভ বেশি
জায়গা কম লাগে
দোকান ছাড়া খোলা জায়গায়ও বিক্রি করা যায়
বাজার সম্ভাবনা
ছোট থেকে শুরু করে সব শ্রেণির পেশার মানুষ চশমা পরেন। চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, গৃহিণী কিংবা নানা বয়সের পথচারীর চোখে বাহারি ধরনের চশমা চোখে পড়ে। মানুষ প্রতিনিয়ত ফ্যাশনেবল হয়ে উঠছে। চশমা রোদের বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। এছাড়া অতিরিক্ত ধুলা-ময়লা চোখে ঢোকার ফলে চোখে তৈরি হতে পারে মারাত্মক প্রদাহ। আবার কারও ক্ষেত্রে চোখ অতিমাত্রায় শুষ্ক হয়েও ঘটতে পারে নতুন বিপত্তি। এসব ক্ষেত্রে চশমা ব্যবহার ও বিক্রি বেড়ে যায়। তবে অভিজাত দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোতে চশমা বেশি বিক্রি হয়।
বিভিন্ন রং ও উপাদানে তৈরি
পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নীল, গোলাপি, কমলা, বেগুনি প্রভৃতি ফ্রেমের চশমা তৈরি করতে পারেন। এসব পণ্য বিভিন্ন উপাদানের হয়। বিশেষ করে মেটাল, প্লাস্টিক, ফাইবার প্রভৃতি।
কেনাবেচা
রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং সেন্টার, ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোড, এলিফ্যান্ট রোড, ফার্মগেট, বিজয়নগর ও পল্টনের স্থায়ী দোকানগুলোয় বিক্রি করা যাবে চশমা। এছাড়া গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম এবং নিউমার্কেটের ফুটপাতে বিক্রি করতে পারেন। দোকান ও ফুটপাতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রেমের চশমা থাকলেও নন-ব্র্যান্ডের ফ্রেমের চশমার প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। কারণ ব্র্যান্ডের চশমাগুলোর চেয়ে নন-ব্র্যান্ড ফ্রেমগুলোর চশমা বেশি ফ্যাশনেবল। টেকসই, দীর্ঘস্থায়ী রং ও ডিজাইনে অনন্য চশমা তৈরি করতে পারেন।
লাভ
২০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা ও পছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখে চশমা বিক্রি করতে পারেন। এর সঙ্গে কনট্যাক্ট লেন্সের চশমা বিক্রি করতে পারেন। স্বচ্ছ পাওয়ারের লেন্সগুলোর দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। আর রঙিন পাওয়ার লেন্সগুলোর দাম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা। পাওয়ার ছাড়া লেন্সের দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। ভালো ব্র্যান্ডের চশমার দাম একটু বেশি। তবে তা ব্র্যান্ড ও ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে।
শিপন আহমেদ