বিজিএমইএ’র সব প্রস্তাব মেনে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: একে একে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সব দাবি মেনে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণের সীমা বৃদ্ধি ও বৈদেশিক বকেয়া দায় পরিশোধে আরও সময় বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গতকাল এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত তৈরি পোশাক খাতের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বিষয়গুলো নাকচ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের (বিজিএমইএ) সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। এরপর আগের সব প্রস্তাব মেনে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনে সময় বাড়ানো হয়, যা গত ডিসেম্বরে শেষ হয়েছিল। নতুন সুবিধা অনুযায়ী, দেশীয় উদ্যোক্তাদের সাপ্লায়ার্স ও বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় শিল্পের কাঁচা পণ্য, রপ্তানি খাতের ব্যাক টু ব্যাক এলসি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক দায় তথা মূল্য পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ৯০ দিনের।

কভিড-১৯ মহামারির জন্য এ সুবিধা ১৮০ দিন করা হয়। পরবর্তীকালে সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও অনেকেই এ দায় পরিশোধ করতে পারেনি। সেই সুবিধা দিতে এখন এ দায় পরিশোধে ব্যবসায়ীরা ২৭০ দিন সময় পাচ্ছে। অর্থাৎ আগের ১৮০ দিনের পরিবর্তে সেই হিসাবে ২৭০ দিন গণনা করা হবে।

আবার ইডিএফ তহবিল থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেয়ার সীমা বাড়ানোর দাবি করেছিলেন উদ্যোক্তারা। বর্তমানে যে কোনো রপ্তানিকারক ইডিএফ তহবিল থেকে আড়াই কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে। এই সীমা এখন থেকে তিন কোটি ডলার করা হয়েছে।

এছাড়া ঋণের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। এত দিন ইডিএফ তহবিল থেকে ৯০ দিনের জন্য ঋণ নিতে পারতেন উদ্যোক্তারা। সেই সময় বাড়িয়ে ২৭০ দিন করা হয়েছে। তবে শুধু বিজিএমইএ ও বিটিটএমএ’র সদস্য কারখানাগুলো এ সুবিধা পাবে।

রপ্তানিকারকদের সুবিধার জন্য ইডিএফ তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কয়েক দফায় এ তহবিলের আকার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ এই তহবিলের আকার বাড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। গত এক বছরে ইডিএফের আকার বেড়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার। এ তহবিল থেকে রপ্তানিকারকরা দুই শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারেন।

এসব সুবিধা নিতে উদ্যোক্তারা যুক্তি তুলে ধরেছিলেন, রপ্তানি গন্তব্যের দেশগুলোয় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে নতুন করে। এতে মূল্য পরিশোধে ও বিদেশ থেকে পণ্যের দাম আসতে সময় লাগবে। ব্যবসায়ীদের এসব কথায় আশ্বস্ত হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তে বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি আসবে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন তৈরি পোশাক খাত-সংশ্লিষ্টরা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০