প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: ‘মাঝে হলো ছাড়াছাড়ি গেলেম কে কোথায়, আরেকটি বার আয়রে সখা প্রাণের মাঝে আয়’ সেøাগানে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর প্রিয় বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধুদের কাছে পেয়ে প্রাণের ছোঁয়ায় উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠে পুনর্মিলনীতে হাসি-গল্প-গানে মেতেছে প্রিয় ক্যাম্পাস। গতকাল শনিবার সকাল থেকে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়’ ক্যাম্পাসে এ প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠের ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ হাসি-গল্প-গানে মেতেছে। এর আগে কয়েক দিন ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় আলপনা এঁকে রাঙিয়ে তুলেছিল ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. ইসমাইল হোসেন, পিডিইউ’র পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সর্দার, বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হোসনা আফরোজ প্রমুখ।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়’ ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে অনেকেই আজ দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে চলে গেছেন। অনেকে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে।
গতকাল ১৯৭৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা এ মিলনমেলায় অংশ নেন। দিনভর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, আনন্দ আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, পুরস্কার বিতরণ, সম্মাননা দেয়াসহ নানা আয়োজনে এ স্থান ভরপুর ছিল। এদিকে আয়োজক কমিটির কাছ থেকে জানা যায়, ‘এর আগে কখনও এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়নি।’
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তফাদার সানজিদা ইয়াসমিন শেয়ার বিজকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমরা বান্ধবীরা একত্র হতে পেরেছি। বান্ধবীদের সঙ্গে কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এ প্রাণের বিদ্যালয়ে। সবাইকে এক ফ্রেমে পেয়ে এগুলো স্মৃতিচারণ করছি। বেশ ভালো লাগছে। আজকের দিনটি খুবই আনন্দে কেটেছে। তাছাড়া অনেক বন্ধুদেরও মিস করছি।’
বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও আয়োজক কমিটির সদস্য শেখ নোমান বলেন, ‘বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় এ এলাকার একটি অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে দেশ-বিদেশের উচ্চস্থানে অনেকেই রয়েছেন। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক কয়েকজন মিলে পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি। সাবেক শিক্ষার্থীরা এখানে এসে সবাই খুশি।
বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্য মো. তহিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরকম একটি মিলনমেলা সফল করার জন্য সাবেক ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিন ধরে এটি একটি আশা-আকাক্সক্ষা ছিল। এর জন্যই আজ সবাই একত্রে মিলিত হতে পেরেছে।