নিজস্ব প্রতিবেদক: এতদিন রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নলেজ ও টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফি এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা ছিল না। এখন এ বিষয়ে গাইডলাইন দিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। ফলে বিডা’র কেস টু কেস অনুমোদন ছাড়াই এখন ৬ শতাংশ অর্থ এসব খাতে ব্যয়ের জন্য বিদেশে পাঠাতে পারবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে রয়্যালটি, টেকনিক্যাল নলেজ/টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফি এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি প্রেরণের ক্ষেত্রে বিডার জারি করা গাইডলাইনের বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।
বিডা’র গাইডলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত তফসিল-১ অনুযায়ী রয়েলটি, টেকনিক্যাল নলেজ/টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ফি বাবদ অর্থ নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির সিঅ্যান্ডএফ মূল্যের ৬ শতাংশ বিদেশে প্রেরণযোগ্য হবে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিয়োজিত প্রকল্পের ক্ষেত্রে আয়কর বিবরণীতে ঘোষিত বিগত বছরের বিক্রয়ের (ভ্যাট ব্যতীত) ৬ শতাংশ অর্থ এসব খাতে ব্যয় নির্বাহে বিদেশে পাঠানো যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ও ঠিকাদারের অনুকূলে ফি পাঠানোর বিষয়ে তফসিল-১-এ নির্দেশনা দেয়া আছে, পাশাপাশি অগ্রিম ফি পরিশোধের ব্যবস্থাও রয়েছে। অগ্রিম ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় অনুসৃত নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে।
বিডা’র গাইডলাইন অনুযায়ী ফি প্রেরণের ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে একটি মাত্র অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক নির্ধারণ করতে হবে। অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উৎসে কর, ভ্যাট ও অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় ও পরিশোধ করতে হবে।
এ বিষয়ে খাতসংশ্লিষ্টরা বলেন যে, গাইডলাইনের আওতায় বিডার কেস টু কেস অনুমোদন ছাড়াই রয়েলটি, টেকনিক্যাল নলেজ, প্রভৃতি ফি বাবদ আবশ্যকীয় ব্যয় বিদেশি সরবরাহকারীকে পরিশোধ করা সহজ হবে।
রয়্যালটি হলো এক ধরনের ভাড়া বা কর ও খাজনার মতো, যা সম্পদের আসল মালিককে দিতে হয়। যেমন ‘এ’-এর সম্পদ ‘বি’ শুধু ব্যবহার করে (সবটা স্বত্ব না কিনে) ব্যবসা করতে চায়। তখন ‘বি’ একে যৌথ সম্মতির ভিত্তিতে যে হারে টাকা বা সুবিধা দেবে, তাই রয়্যালটি নামে পরিচিত। বিশেষ করে মেধাস্বত্বের বেলায় রয়্যালটির প্রচলন সবচেয়ে বেশি।