বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ জড়িত: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিডিআর বিদ্রোহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকার জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকার জড়িত। তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, চক্রান্ত ও পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

২০০৯ সালে পিলখানায় শহিদ ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। গতকাল  রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই সভার আয়োজন করে বিএনপি।

বাংলাদেশকে একটা দুর্বল ও নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘কী কারণে বিদ্রোহ চলার সময় বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে আপনারা কথা বলছেন? তাদের সঙ্গে আপনারা তখন সমঝোতা করছিলেন। কীসের সমঝোতা?’

ফখরুল আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেছেন, ‘কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসছে। নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যেতে চাই, সে কারণে আমরা সব গণতান্ত্রিক পন্থায়

 এগোচ্ছি। আজকে সেখানে বাধা দিয়ে তারা মনে করছেন যে, খুব ভালো কাজ করছেন। শিগগিরই জনগণ প্রতিরোধ করবে।’ 

বিএনপি এরই মধ্যে রাস্তায় নেমেছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপি যখন চাল, ডাল ও তেলের মূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে, তখন থেকে তারা গুলি করে হত্যা করা শুরু করেছে। ১৭ নেতাকর্মীকে রাজপথে গুলি করে হত্যা করেছে। অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। রুহুল কবির রিজভী থেকে শুরু করে এখনও আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে আছেন।’

বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিডিআর আমাদের সীমান্ত পাহারা দেয়ার জন্য নিবেদিত ছিল। এই চক্রান্তের মূল ছিল বিডিআরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া। বিডিআরের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সামরিক বাহিনী থেকে যাওয়া কর্মকর্তারা। সেই সীমান্ত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন সেদিনের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও বেসরকারি কর্মকর্তারা।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এবার আর দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এর জন্য আওয়ামী লীগই দায়ী থাকবে। আমরা পদযাত্রা করি, তারা পাশে শান্তিযাত্রা করে। তাদের শান্তি কমিটির সঙ্গে বিএনপির সঙ্গে এমন যুদ্ধ লাগবে, এতেই তাদের কেল্লা ফতে হয়ে যাবে। এই যে গৃহযুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে, এর জন্য দায়ী থাকবে আওয়ামী লীগ সরকার।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০