নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আইটি খাতের কোম্পানি বিডিকম অনলাইন লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫২ দশমিক ৬২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬২ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এদিকে শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই আইটি খাতের কোম্পানি বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানিয়েছে। মূলত সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কোম্পানিটির গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে শেয়ারদর বাড়ছে। ডিএসইতে ওইদিন কোম্পানির শেয়ারদর ছিল ৩৩ টাকা, গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৪৩ টাকা ৮০ পয়সায়। আর এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ৪ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫২ লাখ ৫ হাজার ৭১২টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৩৯৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা থেকে ৫৫ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে এ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৭ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৭০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৬৪ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরে ছিল পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১০ পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৫৭ পয়সা, যা তার আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ১৫ পয়সা এবং ১৫ টাকা ৬৯ পয়সা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্ট লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩১ দশমিক ২৪ শতাংশ। আজিজ পাইপস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ২৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। এর পরের অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ১৯ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
