নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ অটোকারস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৬৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৬৬টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি ৬২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর তিন দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ১০ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৯৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩০১ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৮৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩১৩ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। গত এক বছরে শেয়ারদর ১০৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪৯০ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য তিন শতাংশ নগদ ও ১২ শতাংশ বোনাসসহ মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে চার টাকা ৩০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে ৯৫ পয়সা এবং এনএভি দুই টাকা ৮৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন চার কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ দুই কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর- ২০১৮) ইপিএস হয়েছে ৫০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৭ পয়সা। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে চার টাকা ৮০ পয়সা, এটি আগের বছর ছিল তিন টাকা তিন পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (ইপি) অনুপাতে ১৯৮ দশমিক ২২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৫০ দশমিক শূন্য পাঁচ। কোম্পানির মোট ৪৩ লাখ ২৬ হাজার ১৩টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও ৫০ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৩৮ লাখ আট হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৫২ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ বা এক টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ছয় লাখ ২৩ হাজার ৮৭টি শেয়ার মোট ৩৪১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৬ টাকা থেকে ২৮ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাসসহ মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছর ছিল ১৫ শতাংশ নগদ। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২৪ পয়সা ও এনএভি ১৯ টাকা ৯৪ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৭৭ পয়সা ও ২০ টাকা ১৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৬ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৭ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০১ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ১৪০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বিদেশি দশমিক ৩৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে সাত কোটি ৬৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ৩০ কোটি ৫৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ১৬ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২১৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২১৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে সাত লাখ ৩১২টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৭৫৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ কোটি ৭৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২১৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৩৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৮৩ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৯৮১টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৮২ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক শূন্য এক শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি সাত দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ফাইন ফুডস লিমিটেড ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 5:28 pm
বিডি অটোকারসের দর বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ
পত্রিকা,পুঁজিবাজার ♦ প্রকাশ: