বিডি থাই ফুডের আইপিও অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের জন্য বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি কোম্পানির আর্থিক দুর্বলতা কাটিয়ে না ওঠা পর্যন্ত আইপিওপূর্ব শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিএসইসি। কমিশনের গতকাল রোববারের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বিডি থাই ফুড পুঁজিবাজারে এক কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। এই শেয়ারের মধ্যে ১৫ শতাংশ শেয়ার এমপ্লয়ীদের মধ্যে ইস্যু করা যাবে, যা দুই বছর লক-ইন থাকবে। পুঁজিবাজার থেকে কোম্পানিটি অর্থ উত্তোলন করে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, দালানকোঠা নির্মাণ, ভূমি উন্নয়ন এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

প্রতিষ্ঠানটির ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া নেট অ্যাসেটভ্যালু হয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা ও পুনঃমূল্যায়নসহ ১৪ টাকা ২৩ পয়সা। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই মূলধনের শেয়ারধারীরা লেনদেন শুরুর তিন বছর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবে না। এছাড়া কোম্পানির ইপিএস এক টাকা না হওয়া পর্যন্ত উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা লভ্যাংশ নিতে পারবেন না। আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেÑবিএলআই ক্যাপিটাল এবং ইউনিক্যাপ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

এছাড়া গতকালের সভায় সুহƒদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্তবছরের ঘোষিত ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ছিল প্রতারণামূলক হওয়ায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্তবছরের ঘোষিত ১০ শতাংশ লভ্যাংশ পরিশোধ না করার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেখা যায় যে, আর্থিক সামর্থ্য না থাকা সত্ত্বেও কোম্পানির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এ বিষয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এদিকে গতকালের সভায় সিদ্ধান্ত হয় ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ শেয়ার পাবেন কর্মীরা। সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ শেয়ারের লক-ইন এর মেয়াদ দুই বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

তথ্যমতে, ২৩ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের কমিশনে দাখিলকৃত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন সভায় আইপিও আবেদনের ১৫ শতাংশ শেয়ার ইস্যুয়ার কোম্পানির কর্মীদের মাঝে ইস্যু-সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে কমিশনের অদ্যকার সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইস্যুকৃত কন্সেন্ট লেটার বাতিলপূর্বক নতুন লেটার ইস্যুর মধ্যে শুধু ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের কর্মীদের মধ্যে ১৫ শতাংশ শেয়ার বণ্টন এবং উক্ত শেয়ারের লক-ইনের মেয়াদ দুই বছর নির্ধারণ করার বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও ইস্যুয়ার কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ ডিস্ট্রিবিউশন অব সিকিউরিটিজ অনুযায়ী প্রস্পেক্টাসে যে সব পরিবর্তন হবেÑতা সংযোজন করে নতুন প্রসপেক্টাস কমিশনে জমা দেয়ার নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০