Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 8:17 pm

বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৩৯.৬৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (বিডি ফাইন্যান্স) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে এক কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ১৩০ শেয়ার দুই হাজার ২৪৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ছয় টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৬ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিমা খাতের কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৮ পয়সা ও ১৫ টাকা ২৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৭ পয়সা, আগের বছর যা ছিল এক টাকা ৬৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ অক্টোবর।

আর চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৮ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৩ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ১৩ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৩ পয়সা (লোকসান)।

আর প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল পাঁচ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৭২ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৪৯ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ১১ পয়সা (লোকসান)।

কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির মোট ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৬০৮ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং বাকি ৫৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত আট দশমিক ৭৬। আর অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৭ দশমিক ৬১।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং লিমিটেড। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৪ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ছয় কোটি ২১ লাখ ১৯ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন চার কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার।

এর পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও বিডিকম অনলাইন লিমিটেড।

‘বি’ ক্যাটেগরির সালভো কেমিক্যালের শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে পাঁচ কোটি ৮৬ লাখ ২২ হাজার টাকার শেয়ার। আর ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ছয় কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার টাকার শেয়ার।