শিক্ষাকে বলা হয়ে থাকে মৌলিক অধিকার। বিভিন্ন কারণে এ থেকে আবার বঞ্চিত হয় অনেকে। এতে শিক্ষার আলোয় সবাই আলোকিত হতে পারে না। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক বৈকি। কেননা জনগণকে মানবসম্পদে রূপান্তরে শিক্ষার বিকল্প নেই। এ অবস্থায় ‘অসচ্ছল মেধাবীদের বৃত্তি দিতে বিত্তবানদের প্রতি অর্থমন্ত্রীর আহ্বান’ সংবলিত খবরটি গুরুত্ব পাবে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিত্তবানদের আরও বেশি বৃত্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই অর্থাভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। গ্রামগঞ্জের অনেক শিক্ষার্থী যথাযথ সহায়তার অভাবে ঝরে পড়ছে উচ্চশিক্ষা থেকে। এরা উন্নত দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার কথা ভাবতেই পারে না। তাদের এ-সংক্রান্ত তথ্যেরও ঘাটতি রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য রয়েছে। সরকার অসচ্ছল মেধাবীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে সাধ্যমতো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প খরচে পড়াশোনার সুযোগ পায় তারা। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী অসচ্ছল মেধাবীদের আরও বেশি বৃত্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিত্তবান তথা বেসরকারি খাতের প্রতি। অসচ্ছল মেধাবীদের বৃত্তি তথা আর্থিক সহায়তা জোগানো গেলে তা দেশের জন্যও মঙ্গলজনক হবে। দেশে বিত্তবানের সংখ্যা বাড়ছে, একে নেতিবাচকভাবে দেখার কারণ নেই। সম্পদ বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়ে। সম্পদশালীরা অনুদানও জোগাতে পারেন বেশি। শিক্ষা খাতে এদের অনেকে অনুদান জোগাচ্ছেন, সন্দেহ নেই। এ অবস্থায় অসচ্ছল মেধাবীদের আরও বেশি বৃত্তি দিয়ে তাদের আরও বেশি মানবসম্পদে রূপান্তর করতে পারলে সেটা অনেক পরিবারেরই ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে।
করপোরেট প্রতিষ্ঠান সিএসআর কার্যক্রমের মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে বিভিন্ন খাতে। এজন্য আইনগত শর্তও রয়েছে। এর আওতায় এদের অনেকে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে। প্রশংসা করেই এটাকে আরও বাড়ানোর আহ্বান আমরা জানাবো। প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকেও তারা এগিয়ে আসতে পারেন। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক আহ্বান তাদের কাছে গুরুত্ববহ বিবেচিত হলেই আমরা খুশি হবো। অসচ্ছল মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বৈকি। অনেক বিত্তবান রয়েছেন, যারা সামান্য সহায়তা প্রদান করেও সেটা প্রচার করেন। অনেকে আবার প্রচারণা ছাড়াই জোগান সহায়তা। যা-ই ঘটুক না কেনো, অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন এটাই কাম্য।
Add Comment