নিজস্ব প্রতিবেদক: রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নয়নে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এ দুটি সংস্থার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের মে মাসে। মেয়াদ শেষের পরই অ্যালায়েন্স বিদায় নিচ্ছে। তবে দেশ ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে আরও ছয় মাস সময় পেয়েছে অ্যাকর্ড।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের আইএলও, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও ইউনিগ্লোবাল প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের দুজন মন্ত্রী, বিজিএমইএ এবং এফবিসিসিআই’র শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ডকে এ সময় দেওয়া হয়। শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন ছাড়াও আইএলও, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ২২৮ ক্রেতার সমন্বয়ে গঠিত এ অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ, যা সংক্ষেপে ‘অ্যাকর্ড’ হিসেবে পরিচিতি পায়। তেমনি আমেরিকার ক্রেতাদের জোটের নাম হয় অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি ইনিশিয়েটিভ, যা ‘অ্যালায়েন্স’ নামে পরিচিতি পায়।
গতকালের বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল বাংলাদেশে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের কার্যক্রম পরিচালিত হবে ২০১৮ সালের ৩১ মে পর্যন্ত। সরকার, বিজিএমইএ ও আইএলও বসে সিদ্ধান্ত নিলাম, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। কোনো কারণে হয়তো হ্যান্ডওভার করতে দেরি হতে পারে; সেজন্য অ্যাকর্ডের ছয় মাসের একটা অন্তর্বর্তীকালীন সময় প্রয়োজন হতে পারে; এ সময়ে নাম হবে ‘ট্রানজিশনাল অ্যাকর্ড’।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ ছাড়ার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, তারা আর কনটিনিউ করবে না। তাদের যে কাজ ছিল, তারা তা শেষ করেছে। অ্যাকর্ডের ৮০ ভাগ কাজ হয়েছে, আগামী সাত মাসের মধ্যে তারা বাকি কাজ শেষ করতে পারবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, আগামী বছরের মে মাসে কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অ্যাকর্ড আরও তিন বছর এ পরিদর্শন চালিয়ে যেতে চাইছিল। তবে তার বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ সরকার ও শিল্প মালিকরা। অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ ছাড়ার পর শ্রম মন্ত্রণালয়ের রিমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) সেসব কাজের দায়িত্ব নেবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।