Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 2:06 pm

বিদেশফেরতরা ১৪ দিন ঘরে না থাকলে আইনি ব্যবস্থা: ডা. ফ্লোরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বিদেশ থেকে ফিরে আসা সবাইকেই ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, ‘বিদেশফেরতরা ১৪ দিন ঘরে থাকুন। আমরা অনেক ক্ষেত্রে দেখছি তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না। আমরা অনুরোধ করেছি এতদিন। সরকারের সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ তারা মানছেন না। সেক্ষেত্রে আমরা সংক্রামক ব্যাধি আইন প্রয়োগ করতে পারি। কিন্তু আমরা শক্ত পদক্ষেপে যেতে চাই না।’

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, ‘চীনের পরিস্থিতি অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু চীনের বাইরে বেশকিছু দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ছোটদের বা যাদের বয়স কম তাদের মৃত্যুর হার কম। বৃদ্ধদের মৃত্যুর হার বেশি।’ তিনি বয়স্ক বা দীর্ঘ মেয়াদে অসুস্থতায় যারা ভুগছেন তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে চার হাজার ৩২৯টি কল এসেছে। তার মধ্যে করোনা সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য কল এসেছে চার হাজার ২১২টি। তবে এখনও অনেকের অভিযোগ তারা হটলাইনে সংযোগ পান না। এ কারণে আরও পাঁচটি নম্বর সংযুক্ত করা হয়। এখন থেকে ৩৩৩-এ ডায়াল করলেই সবগুলো হটলাইনে প্রবেশ করা যাবে।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, প্রথমদিকে মাত্র চারটি হটলাইন নম্বর ছিল। পরবর্তীতে আরও আটটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়নসহ ১৬২৬৩ মোট ১৩টি নম্বরে করোনা সম্পর্কিত পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপরও চাহিদা থাকায় আরও পাঁচটি নতুন নম্বর যুক্ত করা হয়। তবে এখন থেকে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হটলাইনের নম্বরগুলোতে প্রবেশ করা যাবে।

উল্লেখ্য, দেশে গত ৮ মার্চ তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দুজনের মধ্যে একজন বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া আইইডিসিআরে এখন পর্যন্ত ১৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি।