শেয়ার বিজ ডেস্ক: দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট দিন দিন গভীর হচ্ছে। দেশটির সরকারের তরফে তাই গতকাল ঘোষণা দেয়া হয়, এই মুহূর্তে তারা বিদেশি ঋণ শোধ করতে পারবে না। খবর: এপি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে বেলআউট প্যাকেজ পায়নি শ্রীলঙ্কা। সরকারের তরফে জানানো হয়, বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সরকার অন্যান্য দেশের কাছেও সাহায্যের আবেদন করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর জানান, বিদেশি সাহায্য আসার পর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করা হবে।
শ্রীলঙ্কার মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এই ঋণের বেশিরভাগটাই আইএমএফ থেকে নেয়া। প্রায় ৪৭ শতাংশ এই সংস্থা থেকে নিয়েছে। ১৫ শতাংশ ঋণ নিয়েছে চীনের কাছ থেকে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ১৩ শতাংশ ঋণ নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের থেকে ১০ শতাংশ ঋণ নিয়েছে। জাপানের কাছ থেকে ১০ শতাংশ।
১৯৮৪ সালে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে
জ্বালানির ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। পাশাপাশি ওষুধের অভাব প্রকট হয়েছে। খাবারের আকাল দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যেহারে দেশে আর্থিক সংকট বাড়ছে, তাতে করোনার চেয়ে বেশি মানুষ বিনা ওষুধে ও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন। এসব কারণে সরকার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কার ঋণ পরিশোধের ‘নিখুঁত রেকর্ড’ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে… শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থানের অবনতি হয়েছে যাতে বৈদেশিক সরকারি ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানান, কভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ ঋণ পরিশোধ করা ‘অসম্ভব’ করে তুলেছে। গত মাসে আইএমএফ এক মূল্যায়নে জানায়, শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেয়া টেকসই হবে না।