নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশি চ্যানেল পুনরায় চালু এবং ক্লিন ফিড ইস্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল (আইনি) নোটিস পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কেব্ল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এসএম সামসুর রহমান শিমুলকেও অন্য একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে।
নোটিস পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশে সব বিদেশি চ্যানেল পুনরায় সম্প্রচারের ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ক্লিন ফিড ছাড়া কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা হলে বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলেও ক্লিন ফিড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে অহেতুক মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানোর জন্য যাবতীয় ক্ষতিপূরণ নোটিস গ্রহীতাদের বহন করতে হবে বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এ নোটিস পাঠান।
নোটিসে বলা হয়েছে, ক্লিন ফিড ছাড়া কোনো বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করা বর্তমানে সম্ভব নয় বিধায় কোয়াব সদস্যরা গত ১ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে।
নোটিসে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে ক্লিন ফিড ছাড়া কীভাবে বাংলাদেশে সম্প্রচার অব্যাহত রাখা যায়, সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা না করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং কোয়াবের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ বিদেশি চ্যানেল দেখার প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করেও তা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বিনোদনের অভাব দেখা দিয়েছে। এটি সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সংবিধান ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।’ নোটিসে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের মান অত্যন্ত নিম্ন। ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশি চ্যানেলে বিনোদনের স্বাদ গ্রহণ করে। কিন্তু এই নোটিসগ্রহীতাদের হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে শিশুরা কার্টুন, নারীরা রান্না ও সিরিয়াল এবং পুরুষরা সংবাদ, খেলা ও রিয়েলিটি শো দেখতে পারছেন না বলে তারা বর্তমানে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এটি প্রচলিত আইনের পরিপন্থি।’
