নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগে ৩৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে এক লাখ ২১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগের সদস্য মোহম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এডিবি ১৭ হাজার ১৬ কোটি ৭৭ লাখ, বিশ্বব্যাংকের ৯ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪৪ লাখ, কেএফডব্লিউ দুই হাজার ৫৬৭ কোটি ৪২ লাখ, চায়না এক্সিম ব্যাংক ২০ হাজার ৪২ কোটি ৮৪ লাখ, এএফডি এক হাজার দুই কোটি ৪২ লাখ, এলওসি-ইন্ডিয়া ১৫ হাজার ৫৪৩ কোটি ১৫ লাখ, জাইকা ৪৮ হাজার ৪৩৯ কোটি ৭৩ লাখ, এআইআইবি পাঁচ হাজার ৪৪৭ কোটি ৬২ লাখ, ব্যাংক অব চায়না ৫৬ কোটি ১০ লাখ, এইচএসবিসি ব্যাংক ২৬১ কোটি এবং এসএমবিসি এক হাজার ৪২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে।
কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার মধ্যে আবাসিক খাতে ৫৫ শতাংশ, বাণিজ্যিক খাতে ১১ শতাংশ ও শিল্প খাতে ২৭ শতাংশ।
এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সংযুক্ত রয়েছে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে দিরা-পিক সময়ে গড়ে ৪০০ থেকে ৪২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ভাবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনাগুলো হচ্ছেÑবর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে মোট ৫৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। মোট এক হাজার ৫৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে মোট ২২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের। মোট এক হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে।
আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দেশে মোট ছয়টি গ্যাস কূপের সন্ধান পাওয়া গেছে।