শেয়ার বিজ ডেস্ক: আগামী দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বিদেশি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করবে উত্তর কোরিয়া। কেন্দ্রটি ধ্বংসে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি। আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে বৈঠকের তিন সপ্তাহ আগেই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনমতে, পিয়ংইয়ংয়ের ঘোষণা অনুযায়ী পুঙ্গি রি কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সুড়ঙ্গ বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করা হবে। সরিয়ে নেওয়া হবে সব পর্যবেক্ষণ সুবিধা, গবেষণা ভবন ও নিরাপত্তা চৌকি। আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে ২৩ থেকে ২৫ মের মধ্যে কোনো এক দিন পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রটি ধ্বংস করা হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি। পুরো প্রক্রিয়া দেখতে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও রাশিয়ার সাংবাদিকদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। উত্তর কোরিয়া বলছে, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই তারা বিদেশি সাংবাদিকদের পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করার অনুমতি দিতে চাইছে।
উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত পুঙ্গি রি-কেই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট মন্তাপ পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খুঁড়ে এখানে পারমাণবিক পরীক্ষাগুলো চালানো হতো বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ২০০৬ সালের পর থেকে গত এক যুগে এই কেন্দ্র থেকেই অন্তত ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।
অবশ্য গত বছরের সেপ্টেম্বরেই কেন্দ্রটির অংশবিশেষ ধসে পড়েছিল বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। সেপ্টেম্বরে চালানো সর্বশেষ পারমাণবিক পরীক্ষায় মন্তাপ পাহাড়ের আশপাশে হওয়া ধারাবাহিক ভূমিকম্পের মাত্রা দেখে বিজ্ঞানীরা এ ধারণা করেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে গত এপ্রিলে কিমের বৈঠকের পর উত্তরের শীর্ষ নেতার বরাত দিয়ে বলা হয়েছিল, মে মাসের মধ্যে পারমাণবিক কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কিম। কেন্দ্রটি বন্ধ করার সময় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন তারা। তবে উত্তর কোরিয়ার গত শনিবারের বিবৃতিতে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কি না তার উল্লেখ ছিল না।
গত ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তরের প্রতিনিধিদল অংশ নিলে দুই কোরিয়ার শীতল সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তরের নেতার বৈঠকের আমন্ত্রণে সাড়া দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠকের পর কিমের সঙ্গে তার ১২ জুন সিঙ্গাপুরে বৈঠক হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিদেশি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস করবে উ. কোরিয়া
