Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 12:56 am

বিদেশে প্রশিক্ষণে কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে: সংসদীয় কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকল্পের অধীনে বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ ধরনের কার্যক্রমে অর্থের অপচয় হয় বলে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে বিদেশে প্রশিক্ষণে মন্ত্রণালয় বা সংস্থার নিজস্ব কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দিতে বলেছে কমিটি। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সেফটি সিকিউরিটির বিষয়ে রাজশাহীতে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হচ্ছে। এখনও এর কাজ চলমান। এ প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে দুটি ব্যাচে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কিন্তু যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই মন্ত্রণালয় বা সংস্থার নিজস্ব কর্মকর্তা নন। প্রশিক্ষণের পর তারা বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। সরকারের অর্থ ব্যয় করে বিদেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনলেও সেটা কাজে আসেনি। এজন্য আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নিজস্ব কর্মকর্তাদের বাছাই করতে বলেছি।’
এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় স্থায়ীভাবে কর্মরত আছেন, বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার প্রদানের সুপারিশ করা হয় বৈঠকে।
উল্লেখ্য, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আওতায় রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়ায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা-বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বৈঠকে কমিটি ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের আওতায় যেসব বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কাজ করছে, তাদের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য কমিটির সদস্য শামসুন নাহারকে আহŸায়ক করে দুই সদস্যের একটা সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ সাব-কমিটিকে এসব এনজিওর কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করে দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে চুন্নু বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্প বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা এসব এনজিওর প্রতিনিধিদের ডেকে তাদের কার্যক্রম জানতে চেয়েছি। তারা তাদের মতো করে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা যেটা বলেছে, বাস্তবে কতটুকু সত্য, সেটা জানার জন্য আমরা সাবকমিটি করেছি। এ কমিটি সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে রিপোর্ট করবে।’
বৈঠকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পদোন্নতির যোগ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী তিন মাসের মধ্যে পদোন্নতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে সভাপতি জানান।