বিদেশে পড়ালেখা নিয়ে আলোচিত পাঁচ মিথ

ভীষণ সম্মানের। জীবন পরিবর্তনশীল। বিদেশে পড়ালেখা ঘিরে এমনই চিন্তাভাবনা থাকে অনেকের। কেউ কেউ অবশ্য ভুল ধারণাও করে থাকেন। সেসব মিথ এড়াতে পারলে আপনার যাত্রা হবে নিরাপদ ও স্বস্তির।

পড়ালেখা নয়, কাজই মূল উদ্দেশ্য অনেকে খোঁটা দিতে পারে পড়ালেখা মূল উদ্দেশ্য নয়, বিদেশে যায় অর্থের জন্য। কথাগুলো আমলে না নেওয়াই শ্রেয়।

শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিদেশে গেলে পড়তে হবে। লিখতে হবে। ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। অনেক টিউটোরিয়াল ও গবেষণা করার প্রয়োজন পড়বে। এর মধ্য দিয়ে আয়ের পথও সুগম হয়। ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনের ভিত্তি গড়ে ওঠে। ভেবে দেখুন, বুদ্ধিবৃত্তিক ও বিশ্লেষণাত্মক অভিজ্ঞতা জীবনচলার পথকে সঠিকভাবে পরিচালিত করবে কি না।

পড়ালেখার পেছনে দেশেই অনেক টাকা খরচ হয়েছে

পড়ালেখার জন্য খরচ করতে হবে। তবে বিদেশের বিষয়টি ভিন্ন। আপনার গন্তব্য দেশটির জীবনযাপন, চাহিদা ও সংস্কৃতি স্বদেশের চেয়ে আলাদা হবে নিশ্চিত। সেই দেশের কিছু বিষয় মাতৃভূমির চেয়ে শ্রেয় হবে। অন্যদিকে স্বদেশের অনেক বিষয় তুলনামূলকভাবে ভালো।

ভাষা শেখার জন্য বাইরে পড়তে চাই

ভাষা শেখার বিষয়টি মোটেও এমন নয়। পড়তে গেলেন আর সেই দেশের ভাষায় দক্ষ হয়ে উঠলেন, বিষয়টি এত সহজ নয়। নতুন ভাষায় সাবলীল হওয়া চ্যালেঞ্জের। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। অনেক শিক্ষার্থী এক বছরেও ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারেন না।

বড্ড দেরি হয়ে গেছে

শিক্ষার কোনো বয়স নেই। যেকোনো বয়সে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করতে পারেন। আগ্রহ থাকলে কাক্সিক্ষত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আবেদনের সময় পেরিয়ে গেছে? চিন্তার কিছু নেই। স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যান। অনেক প্রোগ্রাম নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শুরু করা যায়।

বিদেশি ভাষায় কথা বলতে পারি না, পড়ব কীভাবে

কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি দেশে উচ্চশিক্ষায় ইংরেজিই প্রধান ভাষা। আফ্রিকার অনেক দেশেও উচ্চশিক্ষার প্রধান ভাষা এটি। ইংরেজি প্রধান ভাষা নয়, এমন অনেক দেশেও এ ভাষায় লেখাপড়া হয়ে থাকে। সুতরাং ভাষা নিয়ে দুশ্চিন্তা নয় মোটেও।