বিদেশ থেকে প্রাপ্ত আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশ থেকে প্রাপ্ত আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে গ্রাহক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই সহজে বিদেশি মুদ্রা দেশের বাইরে পাঠাতে পারবেন। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

বর্তমান অবস্থায় বিদেশে সেবা সরবরাহের বিপরীতে আসা আয়ের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণ করতে পারে। আইটি সেবা খাতের বিপরীতে প্রাপ্ত আয়ের ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য সেবা খাতে ৬০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণ করা যায়। সংরক্ষণযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবকে রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা হিসাব নামে পরিচিত।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে যে আয় আসবে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ওই আয় বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে। তবে বিষয়টি অবশ্যই গ্রাহকে জানাতে হবে। গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় নগদায়ন করা যাবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈদেশিক মুদ্রায় আয় সংরক্ষণের সুবিধার ফলে গ্রাহক তার প্রয়োজনীয় বৈদেশিক ব্যয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে পাঠাতে পারবে। তবে অভিযোগে রয়েছে, ব্যাংকগুলো এ সুবিধা ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকদের দিতে চায় না। বিদেশি মুদ্রা অবাধে বিদেশে স্থানান্তরের বিষয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে এর আগে গত ১০ মে বিজ্ঞপ্তি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন প্রবাসীরা দেশের যেকোনো ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বিদেশ থেকে ওই ব্যাংক হিসাবে যেকোনো পরিমাণ অর্থ পাঠানো যায়। বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় নগদ ডলার বা বিদেশি মুদ্রা আনলে তাও ওই হিসাবে জমা রাখা যায়। এছাড়া বিদেশে যাওয়ার সময় ১০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা সঙ্গে নেয়া যায়। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে কোনো প্রকার অনুমোদন নিতে হয় না। তবে ১০ হাজারের বেশি হলে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, স্থানীয়ভাবে পরিচালিত এসব ফরেন কারেন্সি হিসাবের স্থিতি অবাধে টাকায় নগদায়ন করা যায়। বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীরা বিদেশ যাওয়ার সময় তার হিসাবের স্থিতি থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারের নোট আকারে এবং হিসাবের স্থিতি থাকা সাপেক্ষে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য ফরেন কারেন্সি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। প্রবাসী বা অনিবাসী ব্যক্তির নামে পরিচালিত এসব ফরেন কারেন্সি হিসাবের স্থিতি সুদসহ অবাধে বিদেশে পাঠানো যায়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনোরূপ অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০