বিদ্যমান ব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের সক্ষমতা মূল্যায়নের সুযোগ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় (এসিআর) প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল সোমবার দুদক কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বাংলাদেশ মিশন প্রধান ডাইসাকু কিয়ারাসহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তারা দুর্নীতি, সুশাসন ও আর্থিক খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।

আলোচনায় আইএমএফ মিশন প্রধান বলেন, পুঁজির অবাধ ও স্বচ্ছ প্রবাহ চায় আইএমএফ। এ জন্য আর্থিক খাতসহ সব ক্ষেত্রে সুশাসনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফ প্রতিনিধিরা দুদকের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জানতে চেয়ে নানা প্রশ্ন করেন। তাদের উদ্দেশ্যে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন ও সুশাসনে বাংলাদেশ এগোচ্ছে। তবে কাক্সিক্ষত মাত্রায় নয়। সুশাসন নিশ্চিত করা না গেলে দুর্নীতিও বন্ধ করা যাবে না। প্রতিনিধিদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন শুধু ছোট দুর্নীতিবাজদের ধরছে না, বড় দুর্নীতিবাজ ধরা হয়েছে। তেমনি আরও বড় দুর্নীতিবাজদের ধরার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠীর চাপে কমিশন একটি মামলাও প্রত্যাহার করেনি এবং ভবিষ্যতেও কোনো মামলা প্রত্যাহার করবে না।

সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিদ্যমান বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রতিটি কর্মকর্তার পারফরম্যান্সের জন্য বছরে তার সম্পাদিত কাজ মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর করতে হবে। আর মানসিকতার পরিবর্তন না হলে পদ্ধতিগত সংস্কার সম্ভব নয়। আবার পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া কোনো অবস্থাতেই সুশাসন নিশ্চিত করা যাবে না।

সরকারি অধিকাংশ বিষয়ই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় না জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটাই এখন নেতিবাচক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এটা বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। ব্যাংকিং খাত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কমিশন বেশ কিছু মামলা করেছে। বিগত দুই বছরে বেশ কিছু ব্যাংক কর্মকর্তাকে আইন আমলে নেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদগুলোও পরিবর্তন হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, যে কোনো সংস্কার বা নীতিমালা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রণয়ন করা উচিত। তা না হলে এসব নীতিমালা বা সংস্কার কাগজেই থেকে যায়, বাস্তবায়িত হয় না। বৈঠকের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক মো. জাফর ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০