নিজস্ব প্রতিবেদক: পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লেও গ্রাহকদের ওপর তা এখনই প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, গ্রাহক পর্যায়ে আদৌ দাম বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না, তা বিইআরসির ওপর নির্ভর করছে। আপাতত গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ছে না। গ্রাহক পর্যায়ে যাতে স্বস্তি দেয়া যায়, সেই বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করব। এখন যেটা (দাম বৃদ্ধি) হয়েছে গ্রাহক পর্যায়ে নয়।
গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজের কার্যালয়ে বিইআরসির পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাইকারি বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর সেটি খুচরা পর্যায়ে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে গ্রাহকরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার পর থেকেই তা ‘বিপর্যস্ত জনজীবনে বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে জানিয়ে আসছে।
বিইআরসির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে বিইআরসি জেনারেশন পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয়ের ঘোষণা দিয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে। আমাদের এখানে জেনারেশন করতে গিয়ে মূল্য বেড়ে গেছে, তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। সেজন্য মূল্যটা সমন্বয় করার জন্য বিইআরসি যাচাই-বাছাই করে ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে কতটুকু প্রভাব পড়বে, এখন তো বলতে পারছি না। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে চাই। দামের সঙ্গে কিছুটা সমন্বয় করতে চাই। এখন যেটা হয়েছে, সেটা হয়তো হবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে বিইআরসি গ্রাহক পর্যায়ে বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনা করবে।
নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, এখানে আমি বাড়ানোর কথা তো বলিনি একবারও। এটা কি নির্বাচনের এক বছর নাকি দুই বছর আগে, সেটা বিষয় নয়। এখন সারাবিশ্বেই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এ কারণে উৎপাদনের ক্ষেত্রে দাম প্রভাবিত হচ্ছে। সাত ডলারের গ্যাস ৩০ ডলারে কিনতে হয়।
বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি ক্রমাগত উন্নতির দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সরবরাহ এখন আমরা মোটামুটি অ্যাডজাস্ট করে ফেলেছি। আমরা আশাবাদী, মোটামুটি এখন ভালো পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি। যে ঘাটতিটা ছিল তা আস্তে আস্তে পূরণ হয়ে যাচ্ছে।