নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো)। গতকাল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত বিদ্যুতের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানির ষষ্ঠ দিনে এ প্রস্তাব করা হয়।
যদিও ওজোপাডিকোর প্রস্তাব যাচাই করে এক দশমিক ৭০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বিইআরসির কারিগরি কমিটি।
প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৫ সালে বিদ্যুতের সরবরাহ মূল্য ছিল পাঁচ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং বিতরণ মূল্য ছিল তিন দশমিক ৮১ শতাংশ। এতে বিদ্যুতের সরবরাহ মূল্য দাঁড়ায় ছয় টাকা ৭৮ পয়সা। তবে বিদ্যুতের বিক্রয়মূল্য ছয় টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ ৩৮ পয়সা ঘাটতি রয়েছে।
ওজোপাডিকোর দাবিÑমূল্য বৃদ্ধি না করলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তাদের লোকসান গুনতে হবে ৭১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। তাই ২০১৬ সাল থেকে প্রস্তাবিত মূল্য কার্যকর করার প্রস্তাব ওজোপাডিকোর। এদিকে কারিগরি কমিটি ব্যয় বিশ্লেষণ করে ১১ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করে।
প্রস্তাবনার একপর্যায়ে ওজোপাডিকো তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে আরও প্রকল্প গ্রহণের জন্য বলা হয়। গণশুনানির অংশ হিসেবে অন্য দিনের মতো বিভিন্ন সামাজিক, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে ওজোপাডিকোর চেয়ারম্যান জানান, প্রি-পেইড মিটারের ভেন্ডিংয়ের জন্য গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। গ্রাহকরা এখন মোবাইলের মাধ্যমেও ভেন্ডিং করতে পারবেন। এর আগে ভেন্ডিং করতে গ্রাহকদের তীব্র ভোগান্তি হতো।
এ সময় এম শামছুল আলম বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষের গড় আয় ২৩০ টাকা। তারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তারা প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারে উপযোগী নয়। এ সময় তিনি আফসোস করে বলেন, ‘কোম্পানিগুলো সেবা বাদ দিয়ে মিটার ব্যবসায় মেতে উঠছে।’
সরকারের বিদ্যুৎ সেক্টর সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর আতায় ৪ নভেম্বর ২০১২ সালে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. গঠিত হয়। বর্তমানে কোম্পানিটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা শহর এবং ২০টি উপজেলা শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
Add Comment