নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা শহরের গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের দাম ছয় দশমিক ২৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)। গতকাল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) শুনানিতে এ প্রস্তাব করা হয়। তবে প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে বিদ্যুতের দাম দুই দশমিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বিইআরসির কারিগরি কমিটি।
প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাল্ক হার বৃদ্ধির সময় ট্যারিফে ঘাটতি ছিল। এতে সাত টাকা সাত পয়সা হারে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে ডিপিডিসির ইউনিটপ্রতি ব্যয় হবে সাড়ে সাত টাকা। এতে প্রতি ইউনিটে ডিপিডিসির লোকসান হয় ৪৩ পয়সা। ঘাটতি মেটাতে বিদ্যুতের দাম এ পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
ঘাটতি মেটাতে আবাসিকে ছয় শতাংশ, কৃষিতে দুই দশমিক শূন্য ৯, ক্ষুদ্র শিল্পে ছয় দশমিক ৩৬, অনাবাসিকে ছয় দশমিক ২৪, বাণিজ্যিকে ছয় দশমিক ২৭, মধ্যম ভোল্টেজে ছয় দশমিক ৪৭, উচ্চ ভোল্টেজে ছয় দশমিক ৪৪, অতি উচ্চ ভোল্টেজে ছয় দশমিক ১৯ এবং সড়কবাতি ও পানির পাম্পে ছয় শতাংশ বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।
ব্যয় বিশ্লেষণপূর্বক কারিগরি কমিটি জানায়, প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহে ডিপিডিসির ব্যয় পড়বে সাত টাকা ৩০ টাকা। আর কোম্পানির এ খাতে বিল আদায় করে সাত টাকা ১৫ পয়সা। এতে ১৫ পয়সা ঘাটতি মেটানো দরকার। তবে বাল্ক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর হলে যত পয়সা দাম বাড়বে, তত পয়সা গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়াতে হবে। পাশাপাশি আবাসিক বাল্ক গ্রাহকদের জন্য পৃথক রেট আরোপের প্রস্তাব করা হয়।
এদিকে বিদ্যুৎ বিলের পাশাপাশি নতুন সংযোগ ফি, ডিমান্ড ও সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব করে ডিপিডিসি। এতে একমত পোষণ করে কারিগরি কমিটি। যদিও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ক্যাব।