বিদ্যুতের সাশ্রয়ী বিকল্প হতে যাচ্ছে সৌরবিদ্যুৎ

শেয়ার বিজ ডেস্ক:রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সমস্যা সামনে আসে। বৈদেশিক মুদ্রা সংকটে এই সমস্যা আরও প্রকট হতে শুরু করে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় সরকার। তবে সমস্যার সমাধান এখনও আসেনি।

অন্যদিকে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবজনিত কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছে জীবাশ্ম-জ্বালানিকেন্দ্রিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্প্রসারণে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামর্থ্য ঝুঁকির মুখে। এ পরিস্থিতিতে নবায়নযোগ্য ও বিকল্প সাশ্রয়ী বিদ্যুতের দিকে নজর দিচ্ছে সরকার।

গবেষণা সংস্থা ব্লুমবার্গএনইএফ (বিএনইএফ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে নবায়নযোগ্য (বিশেষ করে সৌরশক্তি) বাংলাদেশের জন্য সস্তা বিকল্প হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। আরও দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সৌর, জল ও বায়ুসহ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ধরনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বাংলাদেশ সরকার।

গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক ক্যারোলিন চুয়া বলেন, ‘নবায়নযোগ্য শক্তি বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সুবিধা দেবে। এলএনজি ও কয়লা আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে। একই সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে মজবুত করবে।’

বিএনইএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানির চেয়ে বেশি খরচ সত্ত্বেও বাংলাদেশ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা ভাবছে। বাংলাদেশ মনে করছে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ভবিষ্যতে হাইড্রোজেন বা অ্যামোনিয়ার মতো জ্বালানিতে চালানো সম্ভব হবে। তবে আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যমান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালানোর খরচের তুলনায় সস্তা হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে বাতাসের উৎস থেকে উৎপাদনেও খরচ কমবে।

প্রতিবেদনের সহ-লেখক ইশু কিকুমা বলেন, ‘ভবিষ্যতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য আর্থিক ঝুঁকিতে ফেলবে। বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য স্থাপনা ত্বরান্বিত করা এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংযোজন সীমিত করা ভালো।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০