শেয়ার বিজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠনের সদস্যরা নতুন সরকারি বিধিমালার বিরোধিতা করে ধর্মঘট পালন করছেন। এতে দেশটির বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। খবর: রয়টার্স।
এ কারণে দ্বীপদেশটির পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার চেষ্টায় থাকা দেশটিতে নিত্যনতুন সমস্যা প্রকট রূপ নিচ্ছে। শ্রীলঙ্কার মূল বিদ্যুৎ কোম্পানি রাষ্ট্রায়ত্ত সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের (সিইবি) ১ হাজার ১০০ প্রকৌশলীর মধ্যে প্রায় ৯০০ জন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন। ফলে দেশটির ৮টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। এ কেন্দ্রগুলোর মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট।
সিইবি’র প্রকৌশলী ইউনিয়নের ধর্মঘট ঠেকাতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাক্ষে গত বুধবার রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহকে জরুরি পরিষেবা ঘোষণা করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এ আইনি নির্দেশনার ফলে প্রকৌশলীদের জন্য কাজের বিষয়ে রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব এরাঙ্গা কুদাহেওয়া বলেন, প্রেসিডেন্ট রাজাপাক্ষে গভীর রাতে সংগঠনের প্রেসিডেন্টকে ডেকেছিলেন এবং পুরো গ্রিড যেন বন্ধ না হয় সেজন্য অনুরোধ করেন। এ কারণে আমরা হাসপাতাল এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবাগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজ করছি। কিন্তু ধর্মঘট চলবে।
নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক নিলামের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেয়াসহ শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ খাত পরিচালনার আইন সংশোধনের সরকারি পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে প্রকৌশলীদের এ সংগঠন। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে শ্রীলঙ্কার সরকার। তারা জানায়, আইন সংশোধন হলে তা প্রকল্পগুলোর দ্রæত অনুমোদন ও বাস্তবায়নে সুযোগ করে দেবে। শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশনের চেয়ারম্যান জানাকা রতœায়েকে জানান, রাজধানী কলম্বোর কিছু এলাকাসহ যেসব অঞ্চলে জলবিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা সেবাটি চালু করার জন্য কাজ করছি এবং জনগণের দুর্ভোগ কমাতে ইউনিয়নের সঙ্গে কথা বলছি।