বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে ইউনিক হোটেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড যৌথ মালিকানায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার জন্য ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডে ২৭২ কোটি টাকা ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্ট করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে কোম্পানিটি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে। ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, গুয়ামা পিআর হোল্ডিংস বিভি এবং স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেডের কনসোর্টিয়াম ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি পেয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কনসোর্টিয়ামটিকে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সম্মতিপত্র (এনওআই) দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে গ্যাস/আরএলএনজিভিত্তিক কমবাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে। কেন্দ্রটির মালিকানার ৬৫ দশমিক শূন্য এক শতাংশ ইউনিক হোটেলের; ৩০ শতাংশ গুয়ামা পিআর হোল্ডিংসের এবং চার দশমিক ৯৯ শতাংশ মালিকানা থাকবে স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেডের।
শেয়ারদর গতকাল এক দশমিক ১০ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৬৪টি শেয়ার মোট ৩৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৬৪ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (সিআরআইএসএল) রেটিং অনুযায়ী কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএ+’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-১’। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন ও ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৮২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৩ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা।
৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ২২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৬১ পয়সা এবং এনএভি দাঁড়িয়েছে ৮৯ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১০৬ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ২৯ দশমিক ৮৩ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৩ দশমিক ২৮।
এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭০২ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ২৯ কোটি ৪৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ, বিদেশি এক দশমিক ৫৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০