নিজস্ব প্রতিবেদক: বড় অঙ্কের লেনদেনের এক দিন পর ফের গতকাল পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয় ঢাকা স্টক একচেঞ্জে (ডিএসই)। গতকাল ডিএসইর সব সূচকের পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতন হয়েছে। একইসঙ্গে গতকাল ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা কমে ফের দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমেছে। তবে সিএসইতে আগের দিনের চেয়ে গতকাল লেনদেন বেড়েছে। আলোচ্য দিনে সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর কমেছে। গতকাল সূচকের পতন হলেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে উঠে আসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এরপর আগ্রহের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
পুঁজিবাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতটিতে ২৩টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে আটটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, পাঁচটির দর অপরিবর্তিত ছিল আর বাকি ১০টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এ খাতে দর বৃদ্ধিতে থাকা আটটি কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের। কোম্পানিটির গতকাল শেয়ারদর বেড়েছে ছয় দশমিক ৪৮ শতাংশ, এর পরের অবস্থানে থাকা শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের তিন দশমিক ৫৭ শতাংশ, ইউনাইটেড পাওয়ারের দুই দশমিক ২২ শতাংশ, বারাকা পাওয়ারের এক দশমিক ৮৬ শতাংশ, ইনট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ, এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
এদিকে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এর পরের স্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। গতকাল খাতটিতে ২৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনের আট শতাংশ লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৫৫১ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৩৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ২৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ কমে দুই হাজার ৩৭৪ দশমিক ৮২ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৮০৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে এক হাজার ২৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। এদিন ২৬ কোটি ৯৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬৪টি শেয়ার দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৪৩ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৭১ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৫৪টির দর।