নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার বিদ্যুৎ খাতে গত ১০ বছরে ৫২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় ফার্নেস অয়েলভিত্তিক গড়ে ১৩-১৪ টাকা, ডিজেলভিক্তিক ২৫-৩০ টাকা, গ্যাসভিত্তিক ২.৫-৩.০ টাকা। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বাল্ক পর্যায়ে সরবরাহ ব্যয় প্রতি ইউনিট পাঁচ দশমিক ৮২ টাকা এবং বাল্ক পর্যায়ে গড় বিক্রয় মূল্য চার দশমিক ৮০ টাকা।
সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার অন্যান্য সিলিন্ডারের তুলনায় নি¤œচাপ সম্পন্ন। অভ্যন্তরে বিদ্যমান চাপের কারণে এলপিজি সিলিন্ডারে বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ক্ষীণ এবং এখন পর্যন্ত এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার নজির নেই। এলপিজি সিলিন্ডার যথাযথভাবে তৈরি করা হচ্ছে কিনা, তা বিস্ফোরক পরিদপ্তর নিয়মিতভাবে পরিদর্শন করে তা নিশ্চিত করছে।
নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে এলএনজি হিসেবে গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে দৈনিক কমবেশী ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুটের সমপরিমাণ এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে গ্যাসের অবৈধ বিতরণ লাইনের পরিমাণ দুই লাখ ৪৪ হাজার ৭৬০ মিটার। এ জেলাগুলোতে অবৈধ বিতরণ লাইনের উৎসমুখ চিহ্নিত স্পট ১২১টি।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানান, বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) গত বছর প্রায় ৬০০টি ফলমূলের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এগুলোতে ফরমালিন বা অন্য কোনো কেমিক্যালের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।