বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৫৯ বিলিয়ন ডলারের (চার হাজার ৭২০ কোটি টাকা প্রায়) একটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎসেবা সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়েছে। গতকাল বিশ্বব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সূত্রমতে, ‘পাওয়ার সিস্টেম রিলায়্যাবিলিটি অ্যান্ড ইফিশিয়েন্সি ডেভেলপমেন্ট’ নামের এ প্রকল্পের অধীনে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করা হবে। এতে করে দেশে বিদ্যুতের অপচয় ও লোডশেডিং হ্রাস পাবে। জ্বালানির ব্যবহার হ্রাসের পাশাপাশি সার্বিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা সমন্বিত প্রক্রিয়ার অধীনস্থ হবে।

বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে এর কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান চুক্তিতে সই করেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। এখন বাংলাদেশের ৭৮ শতাংশ লোক বিদ্যুৎসেবার আওতায় এসেছে। এ অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। প্রকল্পটি এ বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে।’

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম বলেন, সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশ্বব্যাংকের এ অর্থায়নের মাধ্যমে বাধাগুলো অপসারণের পাশাপাশি সক্ষমতা সর্বোচ্চকরণ করা হবে। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) অধীনে এ প্রকল্পটি মোট ৩০ বছর মেয়াদে সম্পন্ন হবে। এর আওতায় কয়লানির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি ৪০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়।

ধ্যমে বাধাগুলো অপসারণের পাশাপাশি সক্ষমতা সর্বোচ্চকরণ করা হবে। বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) অধীনে এ প্রকল্পটি মোট ৩০ বছর মেয়াদে সম্পন্ন হবে। এর আওতায় কয়লানির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি ৪০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়।