ঝড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বন্যা, খরা ও ভূমিকম্পের মতো বাংলাদেশের একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখী। কালবৈশাখী ক্ষণস্থায়ী একটি ঝড়। এ ঝড় সাধারণত ১০ থেকে ৫০ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে। তবে এর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে সব পেশার মানুষই কমবেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কালবৈশাখী খুব অল্প সময়ে সংঘটিত হয় বলে ক্ষতি ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া কঠিন।
কালবৈশাখী সাধারণ ঝড় হলেও এতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। তবে কিছু পদক্ষেপ নিলে ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।
ঝড় মোকাবিলায় কী করা যেতে পারেÑক. গুজব এড়িয়ে চলা। যতটা সম্ভব ধৈর্য ধারণ করা এবং আতঙ্কিত না হওয়া; খ. বিদ্যুৎ থাকা অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ যেসব বৈদ্যুতিক যন্ত্র আছে সেগুলো চার্জ করে রাখা; গ. বাসগৃহে বিদ্যুৎ না থাকলে মোমবাতি অথবা কেরোসিন তেল আগে থেকে এনে রাখা; ঘ. আবহাওয়ার খবর শুনে চলাচল করা। আবহাওয়া বার্তা যদি কোনো সতর্কতা মেনে চলতে বলে তাহলে, তাদের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা; ঙ.গুরুত্বপূর্ণ কাগজ যেমন পরীক্ষার সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র, গুরুত্বপূর্ণ বই, দলিলপত্র প্রভৃতি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং তাই সেগুলো পলিব্যাগে মুড়িয়ে রাখা; চ. নিরাপত্তার জন্য ফাস্টএইড বক্স ঠিক আছে কি না দেখে কিংবা গুছিয়ে রাখা: ছ. অনিরাপদ বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা। ধারালো ভাঙা জিনিসপত্র সরিয়ে রাখুন। যাতে আঘাত না পান। জ. পানি ফুটিয়ে এবং শুকনো খাবার সংরক্ষণ করুন। যদি ঝড় দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে তখন সেগুলো ব্যবহার করা যাবে।
ঞ. গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি নিরাপদ স্থানে রাখা যাতে ঝড়ে তাদের কোনো ক্ষতি না হয়। ট. বসতঘরের ওপরে যদি এমন কোনো গাছ থাকে যেগুলো দেখলে মনে হয় ভেঙে পড়তে পারে সেগুলো আগে থেকেই কেটে ফেলা: ঠ. ঝড়ের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হওয়া; ড. বজ্রপাতের সময় ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। বজ্রপাতে সময় যদি ঘর বা অন্যান্য জায়গায় অবস্থান করতে না পারেন তাহলে, কোনো বড় গাছের নিচে অথবা ছায়ায় অবস্থান করতে হবে।
সোহান হোসেন
শিক্ষার্থী
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়